কাকুর ‘কীর্তি’তে এবার বেহালা-য় ডেঙ্গি আতঙ্ক, উদ্বেগে বাসিন্দারা

কাকুর ‘কীর্তি’তে এবার বেহালা-য় ডেঙ্গি আতঙ্ক, উদ্বেগে বাসিন্দারা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

কাকুর ‘কীর্তি’তে এবার বেহালা-য় ডেঙ্গি আতঙ্ক, উদ্বেগে বাসিন্দারা, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku)। নিয়োগকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। গ্রেফতার হওয়া ইস্তক ইডির তদন্তের রেশ ধরে কাকুর নানা ‘কীর্তি’ সামনে এসেছে। তার সবটাই নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত। তবে এবার ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের দোষের ভাগও নিতে হচ্ছে জেলবন্দি কাকুকে। কাকুর ‘জারিজুরি’তেই ডেঙ্গির আতঙ্কে ভুগছেন বেহালা রায়বাহাদুর রোডের বাসিন্দারা। বেহালা রায় বাহাদুর রোডে ‘রায়ের মাঠ’। কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হওয়ার পরই এই মাঠ দখলের অভিযোগ শিরোনামে উঠে আসে। অভিযোগ, এটি এলাকার রায়দের পৈত্রিক সম্পত্তি। তবে এলাকার লোকজনের খেলাধূলা, সংস্কৃতিচর্চার জন্য এই মাঠের ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন তাঁরা। এ মাঠে পুজোও হয়েছে।

 

 

 

 

 

কাকু শ্রীঘরে। এদিকে ওই মাঠ নিয়ে মামলাও চলছে। এরইমধ্যে অবশ্য রায় পরিবারের দ্বারস্থ হয়েছেন এলাকার লোকজন। যেহেতু তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি এই মাঠ। তাই তারা পদক্ষেপ করুক, চান স্থানীয় বাসিন্দা। রায় পরিবারও ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরনিগম ও কলকাতা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছে। মাঠ পরিষ্কারের কাজও শুরু হয়েছে।

রায় পরিবারের লোকজনের দাবি, এই মাঠের এমন দুর্দশার জন্য কালীঘাটের কাকুই দায়ী। তারা চায়, এই মাঠ যে কাজে ব্যবহার করা হয়, সে কাজেই ব্যবহৃত হোক। কোনও দখলদার যেন এখানে বসতে না পারে। এ নিয়ে আদালতের উপর সম্পূর্ণ ভরসা আছে বলেও জানিয়েছে রায় পরিবারের সদস্যরা।

 

 

 

 

যেদিন থেকে কালীঘাটের কাকুর নজর এই মাঠের দিকে পড়ে, সেদিন থেকে সব শিকেয় ওঠে। অভিযোগ, তিন বছর আগে সুজয়কৃষ্ণ নিজের প্রভাব খাটিয়ে রায়দের মাঠ জবরদখল করে নেন। এমনও অভিযোগ, মাঠ দখল সহজ না হওয়ায় গুন্ডা পর্যন্ত কাজে লাগিয়েছিলেন কাকু।

 

 

আরও পড়ুন- এসএসকেএমে হার্ট সার্জারিতে আপত্তি রয়েছে ‘কালীঘাটের কাকু’র, কিন্তু কেন জানতে চায় হাইকোর্ট…

 

 

 

 

এরপরই রায় পরিবার আদালতে যান। সে মামলা এখনও বিচারাধীন। এর জেরে ওই মাঠে কোনও কার্যকলাপ আপাতত বন্ধ। মাঠের ব্যবহার না হওয়ায় ঝোপঝাড়ে ঢেকেছে মাঠ। বর্ষায় জমছে জল। জঙ্গল আর জমা জল ডেঙ্গির আধার। এদিকে বেহালা এলাকায় ফি বছরই ডেঙ্গি ভয় ধরায়। এবারও উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top