তৃণমূল ভবনে ডাকা হল হুমায়ুন কবীরকে, সুর বদল মুর্শিদাবাদের হুমায়ুনের,

তৃণমূল ভবনে ডাকা হল হুমায়ুন কবীরকে, সুর বদল মুর্শিদাবাদের হুমায়ুনের,

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

তৃণমূল ভবনে ডাকা হল হুমায়ুন কবীরকে, সুর বদল মুর্শিদাবাদের হুমায়ুনের, মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শনিবার তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের নেতৃত্বকে নিয়ে এদিন বৈঠক করবে রাজ্য নেতৃত্ব। সেখানেই হুমায়ুনকেও আসতে বলা হয়েছে। এই বৈঠকে সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম থাকবেন। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকবার ‘বেসুরো’ হয়েছেন হুমায়ুন কবীর। এমনও শোনা গিয়েছে, দল ছাড়তে পারেন আবারও। নতুন দল করতে পারেন, এমন জল্পনাও শোনা গিয়েছে। কেউ কেউ বলেছে, কংগ্রেসের সঙ্গে ‘সখ্যতা’ বাড়াতে চাইছেন হুমায়ুন। অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগও রাখছেন, এমন তত্ত্বও শোনা গিয়েছে। যদিও কোনওটিই স্বীকার করেননি হুমায়ুন কবীর। বলেছেন, “তৃণমূলে আছি, তৃণমূলেই থাকব।”

 

 

 

 

 

হুমায়ুন বলেন, “দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আমার কোনও সংঘাত ছিল না বা নেইও। যা সমস্যা হয়েছিল ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের টিকিট বণ্টন নিয়ে। যে বিধানসভার আমি নির্বাচিত সদস্য, সেখানে ২০২১ সালে যাঁরা খেটে দলকে জিতিয়েছিলেন, তাঁদের সরিয়ে রেখে টিকিট বণ্টন করা হয়েছিল। তাতেই জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আমার সংঘাত। এরপর সুব্রত বক্সী আমাকে একটি শোকজের চিঠি দেন। গত ২৯ জুলাই তা হাতে পাই। ১ অগস্ট তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি। জবাবও দিয়েছি।”

 

 

 

 

হুমায়ুন কবীরের দল বদলের রেকর্ড আছে। কংগ্রেস, তৃণমূল, কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূল — হাত, জোড়া ফুল, পদ্মফুল বাদ যায়নি কোনওটাই। নিন্দুকেরা বলেন, পোশাক বদলানোর মতো করে দল বদল করেন হুমায়ুন কবীর। সেই হুমায়ুন আবারও দল বদল করছেন বলে জোর জল্পনা শুরু হয় সম্প্রতি। ভোটের মুখে বারবার দলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। যদিও প্রতিবারই স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তাঁর সমস্ত অভিযোগ উগরেছেন।

 

 

 

 

আরও পড়ুন –  মানিক-পত্নীকে হেফাজতে রেখে ট্রায়াল কেন, ইডিকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

 

 

 

 

শুক্রবারই এ নিয়ে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে আমার কোনওদিন সমস্যা ছিল না। শোকজের জবাবও দিয়েছি। আর নতুন দল করার কোনও প্রশ্নই নেই।” একইসঙ্গে অধীর-যোগের কথা উঠতেই হুমায়ুন বলেন, “অধীর চৌধুরীর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। কেউ কেউ এ নিয়ে মিথ্যা রটাচ্ছে। অথচ জেলার বেশ কিছু তৃণমূল নেতা অধীরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top