হকার দায়ী নয়, বেহালায় ছাত্রমৃত্যুর জন্য পুলিশই দায়ী, বলছেন হকার সংগ্রাম কমিটির নেতা, বেহালায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে দু’টি মূল অভিযোগ সামনে এসেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন এলাকার লোকজন। একইসঙ্গে হকার সমস্যাকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হকাররা ফুটপাথে গিয়ে উঠে পড়ছে, যার জন্য সাধারণ পথচারীকে মূল রাস্তায় গিয়ে উঠতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। তবে বড়িশা হাইস্কুলের ছাত্র সৌরনীল সরকারের মৃত্যুর জন্য হকার-সমস্যাকে কোনওভাবেই দায়ী বলে মনে করেন না হকার সংগ্রাম কমিটির নেতা শক্তিমান ঘোষ। বরং গোটা ঘটনার জন্য পুলিশের ভূমিকাকেই দায়ী করছেন তিনি।
শক্তিমানবাবুর বক্তব্য, কলকাতা পুলিশ টাকা নিয়ে বেআইনিভাবে হকারদের বসিয়ে দেয়। শক্তিমান ঘোষের কথায়, “মাসোহারা নিয়ে কলকাতা পুলিশের একাংশ বেআইনি হকার বসাচ্ছে। সেগুলি তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আমি হকারদের নেতা হয়ে বারবার সক্রিয় হচ্ছি। কিন্তু টাকা নিয়ে পুলিশ হকারদের বসিয়ে দিচ্ছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। এমনকী যাদের উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাদের কাছ থেকেও টাকা নিয়ে ফুটপাথে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা পুলিশ ঠিকমতো গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় এবং বেআইনি হকার বসিয়ে দেওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।”
প্রসঙ্গত, শনিবারই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, কলকাতার হকার সমস্যা মেটাতে এবার যৌথভাবে ময়দানে নামছে পুরনিগম ও কলকাতা পুলিশ। হকার সমস্যা মেটাতে মনিটরিং সেল তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে নজরদারি করবে এই মনিটরিং সেল।
আরও পড়ুন – বেহালার দুর্ঘটনার পর স্কুলে স্কুলে রাস্তা পার করার পাঠ দেবে পর্ষদ,
ভিন রাজ্যে হকার সম্মেলন যোগ দিতে গিয়েছিলেন শক্তিমান ঘোষ। শহরে ফিরে এমন মর্মান্তিক ঘটনার খবরে বাকি সহনাগরিকের মতো ভারাক্রান্ত তিনিও। তবে বারবার হকারদের কাঠগড়ায় তোলার বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত, স্পষ্ট জানালেন সে কথা। হকার সংগ্রাম কমিটির নেতা শক্তিমান ঘোষ বলেন, “বেহালার ঘটনার জন্য হকারকে দায়ী করা হচ্ছে। কিন্তু হকাররা কোনওভাবেই দায়ী নন এই ঘটনার জন্য। দায়ী হচ্ছে কলকাতা পুলিশ এবং ট্র্যাফিক পুলিশের ব্যবস্থাপনা।”