‘বিদেশি বান্ধবী’ ইস্যুতে সরগরম রাজ্যরাজনীতি, সেলিমকে জবাব দিল তৃণমূল, এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা রাশিয়ান বান্ধবীর তত্ত্বে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিধানসভার অধিবেশনেও বিজেপি এই নিয়ে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূলকে। আর এবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও শাসক শিবিরকে তুলোধনা করলেন ‘বিদেশি বান্ধবী’ ইস্যুতে। টুইটারে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন সেলিম। লিখেছেন, ‘এক মাফিয়া ডন-সাংসদ কয়লা কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত। তিনি নিউ ইয়র্ক থেকে সেলফি শেয়ার করছেন। বিজেপির বড় মাথাদের সাহায্য নিয়ে তিনি দেশের বাইরে চলে গিয়েছেন। অভিযোগ, তিনি নিজের ভুল পথে আয় করা টাকা সরানোর জন্য ১৫ জন বিদেশি পতিতার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন।’ যদিও সরাসরি কারও নাম মহম্মদ সেলিম নিজের টুইটে উল্লেখ করেননি।
এদিকে মহম্মদ সেলিমের এ হেন আক্রমণের পর পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের মন্তব্যে বেজায় বিরক্ত কুণাল। ঝাঁঝালো প্রতি আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘মহম্মদ সেলিম ছোটবেলা থেকে যেভাবে বেড়ে উঠেছেন, তিনি এই মাফিয়া, ডন, পতিতা… এই শব্দগুলির সঙ্গে ছোটবেলা থেকে পরিচিত। তাই তাঁর টুইটে এই শব্দগুলি বেরিয়ে এসেছে। এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। ছোটবেলা থেকে কারও যে সংস্কৃতির সঙ্গে যোগাযোগ থাকে, সেগুলিই বেরিয়ে যায়। ফলে তাঁর সেগুলি বেরিয়ে গিয়েছে। এখন তাঁর দলের লোকেরাই প্রতিবাদ করছে। আমরা তো করবই প্রতিবাদ।’
আরও পড়ুন – আজ থেকে বন্ধ মা উড়ালপুল, জানুন বিস্তারিত
সোমবার মেদিনীপুরে এক দলীয় কর্মসূচিতেও সংবাদমাধ্যমের সামনে এই ‘বিদেশি বান্ধবী’ তত্ত্ব তুলে ধরেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। তখনও সরাসরি কারও নাম না করে ‘মাফিয়া ডন’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করেন তিনি। সেলিমের কথায়, ‘সংবাদ মাধ্যম দেখাচ্ছিল, হাইকোর্টে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি। আর উনি তখন ফস্কে চলে গেলেন। মাফিয়া ডন। পরিষ্কার কথা পরিষ্কার করে বলতে হয়।’ সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের আরও সংযোজন, ‘এখানে শিক্ষকের চাকরিতে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ না দিয়ে, টাকা পয়সা লুঠ করে… বিদেশি বান্ধবীদের নিয়ে…আমি বলব তাঁরা বারবনিতা, তোমরা শুদ্ধভাষায় বলবে মডেল…এরকম পাওয়া যায়, এসকর্ট সার্ভিস। তাঁদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেওয়া হয়েছে। আমাদের রাজ্যের মাফিয়া,মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উত্তরসূরি এ রাজ্যের গরিব মানুষদের লুঠ করা টাকা পাচার করার জন্য পতিতাদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়েছেন।’