উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া স্টেট জেনারেলের নতুন নাম ‘রেফার’ হাসপাতাল! গুরুতর অসুস্থ কোনও রোগী বা দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভুগছেন কেউ। কিন্তু হাসপাতালে গেলেই বলে দেওয়া হয় চিকিৎসক নেই। ফলে লোকের মুখে-মুখে হাসপাতালের নাম এখন দাঁড়িয়েছে ‘রেফার’ হাসপাতাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশের পরও কেন এই অবস্থা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। ভাটপাড়া স্টেট জেনারেলের নতুন নাম ‘রেফার’ হাসপাতাল! রোগী ও এলাকার বাসিন্দারা এক ডাকেই এই হাসপাতালকে চেনেন ‘রেফার হাসপাতাল’ নামে।
উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের নাম এখন ‘রেফার হাসপাতাল’। রোগী ও এলাকার বাসিন্দারা এক ডাকেই এই হাসপাতালকে চেনেন ‘রেফার হাসপাতাল’ নামে। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, কোনও রোগী গুরুতর অবস্থায় এলেই তাঁকে স্থানান্তরিত করে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এর জেরে সবচেয়ে অসুবিধায় পড়েন মুমূর্ষ রোগীরা।
এত অভিযোগের পর কী বলছেন হাসপাতাল সুপার?যদিও, হাসপাতাল সুপার সাফাইয়ের সুরে জানিয়েছেন, হাসপাতালে চল্লিশ জন চিকিৎসকের প্রয়োজন। রয়েছেন কুড়ি জন। গ্রুপ-ডি স্টাফ রয়েছেন অনেক কম। পনেরো জন জমাদারের জায়গায় কাজ করছেন একজন। তিনি আরও বলেছে, “ভাটপাড়া এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটতেই থাকে। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় রোগীদের সমস্যায় পড়তে হয়।” তাঁর অভিযোগ, একাধিকবার স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি লিখেও কোনও লাভ হয়নি।
আরোও পড়ুন – ‘বিদেশি বান্ধবী’ ইস্যুতে সরগরম রাজ্যরাজনীতি, সেলিমকে জবাব দিল তৃণমূল,
আরোও পড়ুন – বেশি মাথা নিচু করবেন না, রোদচশমা খুলে পড়ে যাবে! রাজ্যপালকে কটাক্ষ মন্ত্রী…
উল্লেখ্য, এই হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ১১৯। প্রতিদিন এমারজেন্সি বিভাগে আসেন ৩০০ থেকে ৪০০ জন। আউটডোরে চিকিৎসা হয় ৫০০ থেকে ৮০০ রোগীর। কখনও-কখনও তা ছাড়িয়ে যায় হাজারেও। রোগীর পরিজনদের দাবি, রোগীর বিছানা সহ হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গায় অবাধে ঘুরে বেড়ায় বাইরের কুকুর বিড়াল। সময় মতো মেলে না পানীয় জল।
(সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )