TRAI নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভারতীয়দের ফোনে আসছে Spam Call , Spam Call নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। আজকাল প্রায় প্রত্যেক টেলিকম সংস্থার ব্যবহারকারীরাই স্প্যাম কলের শিকার। পরিস্থিতি এতটাই বিরক্তিকর হয়ে গিয়েছে যে, ব্যক্তিগত কলের থেকে স্প্যাম কলের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। ভয়ঙ্কর দিকটি হল, অনেকে না বুঝতে পেরেই স্প্যাম কল রিসিভ করে ফেলেন। ফোনের ওপারে তখন প্রতারকদের ফাঁদে পড়তে হয় ছাপোষা সাধারণ মানুষকে। লোভের বশবর্তী হয়ে মানুষ ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করে ফেলেন এবং এমন কিছু ম্যালিশিয়াস লিঙ্কে ক্লিক করে ফেলেন যার দ্বারা দিনের শেষে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা খোয়া যায়।
চলতি বছরের মার্চ মাস নাগাদ টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা TRAI দাবি করেছিল যে, 1 মে থেকে দেশে সম্পূর্ণ ভাবে স্প্যাম ও প্রচারমূলক কল নিষিদ্ধ করা হবে। সে সময় ট্রাই জানিয়েছিল, স্প্যাম এবং প্রচারমূলক কল বন্ধ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI ব্যবহার করা হবে। তাছাড়াও একটি কলার আইডি বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই কল যিনি করছেন তাঁর নাম এবং ছবি প্রদর্শিত হবে বলে জানা গিয়েছিল, যাতে অজ্ঞাত এবং অযাচিত নম্বরগুলি শনাক্ত করতে আরও সুবিধা হয়। তার জন্য Truecaller অ্যাপের সাহায্য নিতে হয়েছে দেশের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটিকে।
আরও পড়ুন – এ বার রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডা,
স্প্যাম এবং প্রচারমূলক কলগুলির জন্য পৃথক মোবাইল নম্বর জারি করা হয়েছিল, যেগুলি 10 সংখ্যার মোবাইল নম্বর থেকে আলাদা হতে হবে। তার মাধ্যমে এই মোবাইল নম্বরগুলো শনাক্ত করা যায়। তবে এসব প্রস্তুতি শুধু কাগজে-কলমেই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, মে মাসের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনও স্বস্তি পাননি সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে TRAI-এর তরফ থেকে বলা হচ্ছে, কোনও দৃঢ় সময়সীমা দেওয়া হয়নি যে কখন স্প্যাম এবং প্রচারমূলক কলগুলি থেকে সাধারণ মানুষ পরিত্রাণ পাবেন।
হালফিলে স্প্যাম কল আসছে ব্যক্তিগত নম্বর থেকে। সেই 10 ডিজিটের নম্বর থেকে আপনার বোঝার ক্ষমতা থাকবে না সেটি স্প্যাম কল। আর আপনি বুঝতে না পেরে সেই কল রিসিভ করে বসেন। চলতি বছরের শুরু থেকেই দেশের টেলিকম সংস্থাগুলি এবং টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাই একাধিক বৈঠক করে। TRAI এর তরফ থেকে টেলিকম সংস্থাগুলিকে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়, স্প্যাম এবং প্রচারমূলক কল নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু তা এখনও পর্যন্ত চিন্তাভাবনার স্তরেই রয়ে গিয়েছে এবং তাতে সাধারণ মানুষের হয়রানিও বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি তাদের রিচার্জ প্ল্যানের খরচ বাড়ালেও স্প্যাম কল থেকে মানুষের রেহাই মিলছে না।