অবশেষে হাসপাতালেই হার্ট অপারেশন হল কালীঘাটের কাকুর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অস্ত্রোপচার কোথায় হবে, তা নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলেছে। সরকারি হাসপাতালে কেন অপারেশন করাতে চাইছেন না ‘কালীঘাটের কাকু’, সেই প্রশ্ন উঠেছিল আদালতেও। অবশেষে তাঁর পছন্দের হাসপাতালেই হল হার্ট অপারেশন। শুক্রবার একবালপুরের বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আর কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। আর্টারিতে ‘ব্লকেজ’ পাওয়া যেতে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু এসএসকেএমে (SSKM) অপারেশন করাতে আপত্তি ছিল তাঁর।
প্রথমে সুজয়কৃষ্ণ নিম্ন আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন, যাতে বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সুযোগ দেওয়া হয়। সেখানে ধোপে টেকেনি তাঁর যুক্তি। আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও নিজের দাবিতে অনড় ছিলেন ‘কাকু’। পরে হাইকোর্টে আবেদন জানান তিনি। সেখানেও চলে দীর্ঘ সওয়াল-জবাব। এসএসকেএমে (SSKM) সব আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কেন ‘কাকু’র আপত্তি, তা জানতে চেয়েছিল আদালত।
পরে আদালতের নির্দেশে জোকা ইএসআই-তে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ড রিপোর্ট দেয়। তাতে দেখা যায়, সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। তা দেখেই ইডি জানিয়ে দেয়, সরকারি বা বেসরকারি যে কোনও হাসপাতালে হোক অস্ত্রোপচার। প্রথমে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের কথা বললেও পরে একবালপুরের এই হাসপাতালেই অপারেশন করাতে চেয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ (Sujay Krishna BHanda)। সেই মতো, শুক্রবার ওই হাসপাতালে অপারেশন হয়।
আরও পড়ুন – যাদবপুরের হস্টেলে কী কী ধরনের র্যাগিং হত, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন…
স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্যারোল শেষ করে জেলে ফেরার সময়েই অসুস্থ হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। তড়িঘড়ি তাঁকে এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর তাঁর হৃদযন্ত্রে বেশ কিছু সমস্যা দেখা যায়। তিনটি স্টেন্টও বসানো হয়। তবে, তাঁর আর্টারিতে ‘ব্লকেজ’ পাওয়া যেতে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু এসএসকেএমে (SSKM)অপারেশন করাতে আপত্তি ছিল তাঁর।