সাসপেনশনের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত অধীরের, বললেন ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই,সাসপেনশনের তোলার জন্য ক্ষমা চাইবেন না৷বরং পাল্টা আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী৷কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে অধীর বলেন,‘ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই। অন্যায় করিনি।তাঁর কথায়,সংসদের কারও ভালবাসা চাই না। সবচেয়ে বড় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে যোগ্য অধিকার ও সম্মান চাই।’সংঘ ও বিজেপির সমালোচনা করে অধীরের বক্তব্য, ‘যে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলনের জন্য এক সময় কংগ্রেস কর্মীদের খুন করেছে আরএসএস,সেই তেরঙ্গার প্রতি এখন ভালোবাসা উতলে উঠছে।’সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় জবাবি ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।যদিও ২ ঘণ্টার ভাষণে মণিপুর নিয়ে মাত্র ৫ মিনিট বক্তব্য রাখেন তিনি।সেই প্রসঙ্গ তুলে অধীর প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব হন।একইসঙ্গে চিন সীমান্ত নিয়েও মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হন তিনি।অধীরের অভিযোগ, মণিপুর সম্পর্কে বুঝতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী মোদি।তাঁর কথায়, ”চিন সীমান্তের বাফার জোনে সেনা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।ফলে শান্তি ফেরানোর কথা বলা যাবে না।সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মণিপুর পুলিশ।
অধীরের সাসপেনশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।দলের লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,“অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক ভাবে কিছু জায়গায় বিরোধ থাকতে পারে তবে তিনি লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা।তিনি আজ দেশের সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন সেই জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।অবশ্য সাসপেন্ড করার পিছনে অন্য কারণ দেখানো হয়েছে।”তিনি আরও বলেন,”ভারতীয় রাজনীতির খুব বাজে একটা দিন। একটা কথা স্পষ্ট,প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যেই বলুন তাঁকে সবরকম চেষ্টা করা হবে আটকানোর জন্য।”
আরও পড়ুন – দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাদবপুর কাণ্ডে হুঁশিয়ারি ক্ষুব্ধ কুণালের,
সদ্য সমাপ্ত সংসদের বাদল অধিবেশন নিয়ে তোপ দাগলেন কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী।তাঁর অভিযোগ, সংসদীয় প্রথা লঙ্ঘন করে এক তরফা বিল পাস করিয়েছে মোদি সরকার।তিনি আরও বলেন,সংসদে কোনও বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী নেতারা।বিলের পক্ষে বিপক্ষে মত আদান প্রদানের পর সেই বিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় বিক্ষোভ করায় কংগ্রেসের লোকসভার নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে ট্রেজারি বেঞ্চ।