স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ, আত্মঘাতী হলেন প্রাক্তন সেনাকর্মী, শুক্রবার এই ভয়াবহ ঘটনা সামনে এসেছে। মৃত পরিবারের লোকেদের বাড়ি দমদম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জীবন ধর রোডে। সেখানেই একটি বহুতলের ফ্ল্যাটে থাকত প্রাক্তন সেনা কর্মীর ওই পরিবার। শুক্রবার সকালে মেয়ে ও স্ত্রীকে খুন করে মধ্যমগ্রামে স্টেশনে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রাক্তন সেনাকর্মী। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দমদমের ওই এলাকায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে মেয়ে ও স্ত্রীকে খুন করেন গৌতম। তার পর ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এর পর ফ্ল্যাটে তালা দিয়ে তিনি ট্রেন ধরে মধ্যমগ্রামে আসেন। এবং সেখানে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন।
অবসাদের জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। সেনাকর্মীর ফ্ল্যাটে অনেক ওষুধপত্রও মিলেছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। মদের বোতলও পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ভদ্রমহিলা খুব মিশুকে ছিলেন। কিন্তু ওই সেনাকর্মী কারও সঙ্গে খুব একটা কথা বলতেন না।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী ও কন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী হওয়া প্রাক্তন সেনাকর্মীর নাম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় (৪৮)। তাঁর স্ত্রীর নাম দেবিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (৪৪) এবং মেয়ের নাম দিশা বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯)।
আরও পড়ুন – ভোর সাড়ে ৫টায় বাড়িতে ঢুকল দুস্কৃতীরা, গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন সাংবাদিক বিমল…
শুক্রবার মধ্যমগ্রাম স্টেশনে হাবড়া লোকালের সামনে ঝাঁপ দেন ওই প্রাক্তন সেনাকর্মী। ট্রেনের ধাক্কায় দেহ দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় তাঁর। দেহ উদ্ধার করে তাঁর বাড়ির খোঁজ করে পুলিশ। তখন বাড়িতে দিয়ে তালাবন্ধ দেখে পুলিশ। এর পর তালা ভাঙতেই রক্তাক্ত অবস্থায় দেবিকা এবং দিশার দেহ দেখতে পায় পুলিশ। সব্জি কাটার যে ছুরি দিয়ে খুন করা হয়েছে তাও পড়েছিল সেখানে।