মিজোরামের পর দিল্লি, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু মুর্শিদাবেদের তিন শ্রমিকের, মালদহর ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। সম্প্রতি ২৩ জন শ্রমিক মারা গিয়েছেন মিজোরামে। আইজল থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে সাইরাং এলাকায় নির্মীয়মাণ রেলব্রিজ ভেঙে মৃত্যু হয় তাঁদের। পরিবারগুলো এখনও কাছের মানুষের চলে যাওয়ার শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ঘটনার দু’দিন যেতে না যেতেই ফের মৃত্যুর খবর। এবার দিল্লি। সেখানে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবেদের তিন শ্রমিক। কিন্তু বিপদ যে এই ভাবে পরিবারের কাছ থেকে তাদের কেড়ে নেবে কেউ হয়ত বুঝে উঠতে পারেনি। গোটা ঘটনায় পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃতদের নাম গোকুল মণ্ডল (৪৪), শুভঙ্কর রায় (৩১), ইসরাইল শেখ (৩৩)।
মিজোরামের ঘটনায় মালদহ পুখুরিয়ার চৌদুয়া গ্রামেই সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ইংলিশ বাজারেরও কয়েকজন ছিলেন। স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়াতে শুক্রবারই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস পৌঁছেছিলেন মালদহে। নিহত পরিবারগুলিকে দেওয়া হয় ক্ষতিপূরণও।
জানা গিয়েছে, গোকুলের বাড়ি সামশেরগঞ্জের ধূলিয়ান পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে পাহাড়ঘাঁটি এলাকায়। শুভঙ্করের বাড়ি ধুলিয়ানেরই ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেতবোনা গ্রামে। এর পাশাপাশি ইসরাইলের বাড়ি ফরাক্কা থানার অন্তর্গত ইমামনগর গ্রামে। পরিবার সূত্রে খবর, মাস দু’য়েক আগে নিজ বাড়ি থেকে রাজমিস্ত্রি কাজের উদ্দেশ্যে দিল্লির গাজিয়াবাদে গিয়েছিলেন এই তিনজন। নিত্যদিনের মতো শুক্রবারও রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন তারা। সেই সময় অসাবধানবসত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন শ্রমিক।
আরও পড়ুন – কলকাতায় পাকিস্তানি ‘স্পাই’! বিহারের বাসিন্দাকে গ্রেফতার করল পুলিশের STF
তড়িঘড়ি তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ দিকে, মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। শনিবার সকাল থেকেই মৃতদের পরিবারগুলিতে ভিড় জমান স্থানীয় মানুষজন। জানা গিয়েছে, দিল্লির হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পরই দেহ বাড়ি নিয়ে আসা হবে এলাকায়। এ দিকে শোকে এক প্রকার পাথরই হয়ে গিয়েছেন পরিবারের লোকজন। বারংবার জ্ঞান হারাতে দেখা যায় শোকার্ত পরিবারের সদস্যদের। চোখভেজা জলে মৃতদের পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আজ খবর এসেছে। বলছে বিদ্যুতের শক লেগে মারা গিয়েছে।”