বিদেশ সফর থেকে ফিরেই ইসরোর সদর দফতরে ছুটে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে গিয়ে তিনি চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) মিশনের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত গবেষক-বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই ইসরো সফর নিয়েও তৈরি হল বিতর্ক। কংগ্রেসের (Congress) দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদী কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্য়মন্ত্রীকে বিমানবন্দরে আসতে বারণ করেছিলেন, কারণ তিনি ওঁদের সহ্য করতে পারছেন না। যদিও যাবতীয় বিতর্ক দূর করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই। কেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে আসতে বারণ করেছিলেন, তার সাফাই দিলেন। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবেই মুখ্য়মন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে আসতে বারণ করেছিলেন, যা সরকারি প্রোটোকল বিরুদ্ধ।
যদিও পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই এই বিতর্ক দূর করেন। বেঙ্গালুরুর হ্যাল বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “ভোরবেলায় মন্ত্রীদের যাতে কোনও সমস্য়া না হয়, তার জন্যই বিমানবন্দরে আসতে বারণ করেছি। আমি নিজেও জানতাম না কখন বেঙ্গালুরুতে পৌঁছব, সেই কারণে আমি মুখ্য়মন্ত্রী, উপমুখ্য়মন্ত্রী ও রাজ্যপালকে ওত সকালে বিমানবন্দরে আসতে বারণ করেছিলাম।”
কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবেই মুখ্য়মন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে আসতে বারণ করেছিলেন, যা সরকারি প্রোটোকল বিরুদ্ধ। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক্স (টুইটারের নতুন নাম) বলেন, “ওনার (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) আগেই ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিবাদন জানানোর জন্য় উনি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর উপরে এতটাই বিরক্ত হয়েছেন যে ইচ্ছাকৃতভাবেই তিনি মুখ্য়মন্ত্রীকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে আসতে বারণ করেছিলেন। এটা নীচু স্তরের রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়।”
আরও পড়ুন – অবশেষে সুশান্তের ফ্ল্যাটটি কিনলেন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র অদা শর্মা!
তিনি আরও যোগ করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী কি ভুলে গিয়েছেন যে ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর, তিনি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন চন্দ্রযান-১ উৎক্ষেপণের পরই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংয়ের আগে আহমেদাবাদে স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে গিয়েছিলেন?”
( সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube)