মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রওনা দিয়েছেন স্পেন সফর। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখানেও যে পিছু ছাড়ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যাওয়ার কথা থাকলেও যাওয়া হলো না তিন ক্লাবের প্রধানের। বিমানে চেপে বসলেও যাওয়া হলো না তাদের। জাভি, ইনিয়েস্তা, ক্যাসিয়াসদের দেশ বলে কথা। রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনার খাস তালুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাভাবিক ভাবেই সঙ্গে নিয়েছেন এই শহরের ফুটবল কর্তাদের। স্পেনে মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন কলকাতার তিন প্রধানের প্রতিনিধিরা। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখানেও যে পিছু ছাড়ছে না। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এখানেও যে এগিয়ে গেল!
মোহনবাগান, মহমেডানের প্রতিনিধিরা মাদ্রিদের উড়ানে চেপে বসলেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যাওয়া হল না ইস্টবেঙ্গলের প্রতিনিধির। আসলে প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল ক্লাব সভাপতি প্রণব দাশগুপ্ত মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে স্পেন উড়ে যাবেন। সেই ভাবেই সব কিছু এগোচ্ছিল। কিন্তু তাল কাটল শেষ সময়ে। প্রণব দাশগুপ্তর আবার মেয়ের কাছে মার্কিন মুলুকে যাওয়ার দিনক্ষণ সামনেই। সব বন্দোবস্ত সারা। শরীরটাও সঙ্গত করছিল না প্রণববাবুর। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গীর তালিকা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন লাল-হলুদ সভাপতি।
আরও পড়ুনঃ ঝালদা অশান্তি যেন কিছুতেই মিটছে না, বোর্ড মিটিংয়ে গড় হাজির ৫ তৃণমূল কাউন্সিল
বিকল্প হিসেবে ক্লাবের সহসচিব রূপক সাহার নাম প্রস্তাব করেন ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার। রূপকবাবু নিজেও এই বিষয়ে অত্যন্ত উত্সাহী। অতঃপর ক্লাবের পক্ষ থেকে নবান্নে নাম যায় সহ-সচিব রূপকবাবুর। কিন্তু ততক্ষণে ক্লাইম্যাক্স প্রায় চূড়ান্ত। কাউন্টডাউন চালু হয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন যাত্রার।
যুদ্ধকালীন তত্পরতায় রূপক বাবুর ভিসার জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু ওই চান্স ফ্যাক্টর। যে চান্স ফ্যাক্টারের জন্য ডুরান্ড ফাইনালে ভাল খেলেও ট্রফি ঘরে তোলা যায়নি। সমস্ত রকম নথিপত্র তৈরি জমা করতে করতেই তো দিন শেষ। মাদ্রিদের উড়ান উড়ে যাওয়ার জোগাড়। বাস্তবে হল তাই।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফরে উড়ে যাওয়ার দিনেই ভিসার জন্য নথিপত্র জমা করতে পারলেন ইস্টবেঙ্গলের রূপক সাহা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ভিসা আসতে আরও দিন-দুয়েক। সেক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল সহ-সচিব বৃহস্পতিবার রওনা হবেন মাদ্রিদের জন্য।
ওইদিকে বৃহস্পতিবারই হয়তো মাদ্রিদে লা লিগা কমিটির সঙ্গে সাক্ষাত্ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে সেই মিটিংয়ে কি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারবেন ইস্টবেঙ্গলের কোনও প্রতিনিধি? না কি লাল হলুদ প্রতিনিধি ছাড়াই লা লিগার সঙ্গে বৈঠক সারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?