বারবার জানিয়েছেন তিনি নির্দোষ। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ নেই। তবুও তাঁকে দফতরে ডেকে ৮-৯ ঘ্নটা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষ হলে বেরিয়ে এসে তা আদতে অন্তঃসারশূন্য বলে জোর গলায় দাবি করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এবার মামলা থেকে পুরোপুরি অব্যাহতি না পেলেও কিছুটা স্বস্তি পেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। হাইকোর্টের রায়ে তাই খুশির হাওয়া শাসক শিবিরে। তবে বিজেপি মনে করছে, পদক্ষেপ হোক বা না হোক, তদন্ত তো চলছেই।
আরও পড়ুনঃ গাল জুড়ে দগদগে ঘা, ঝাঁকড়া চুল-দাড়িতে ঢাকা মুখ, অভিনেতাকে চেনেন
শুক্রবার অভিষেকের করা মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দিয়েছেন, ইডি-র তরফে অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। তবে তদন্ত চলবে। রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, এই মামলায় ইডি এমন কোনও তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি যাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যায়।
আর এই রায় শুনে বেজায় খুশি শাসক শিবির। এই রায় শুনে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “আমি আনন্দিত। অভিষেককে যেভাবে বিনা কারণে হেনস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছিল, আদালতের নির্দেশ তা থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বিরত করবে।” তৃণমূল প্রথম থেকেই বলে এসেছে যে অভিষেককে বারবার তলব করা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সমন্বয় বৈঠকের দিন অভিষেককে যেভাবে তলব করা হয়েছিল, তাতেও ষড়যন্ত্রের তত্ত্বই সামনে এনেছিল ঘাসফুল শিবির।
তবে বিজেপির দাবি, দুর্নীতি যে হয়েছে, সেটা ঠিক। তাই আপাতত তদন্তে নজর রাখতে হবে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আইনি দীর্ঘসূত্রিতায় মানুষ ক্লান্ত। সারা দেশের মানুষ যখন এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে, তখন বাংলার মানুষ দুর্নীতি-চুরি-খুন নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছে। কড়া না নরম পদক্ষেপ করা হবে তা আমাদের জানা নেই। তবে তদন্ত তো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। দুর্নীতি যে হয়েছে এটা প্রতিষ্ঠিত।” সেটা ঠিক। তাই আপাতত তদন্তে নজর রাখতে হবে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আইনি দীর্ঘসূত্রিতায় মানুষ ক্লান্ত। সারা দেশের মানুষ যখন এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে, তখন বাংলার মানুষ দুর্নীতি-চুরি-খুন নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছে। কড়া না নরম পদক্ষেপ করা হবে তা আমাদের জানা নেই। তবে তদন্ত তো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। দুর্নীতি যে হয়েছে এটা প্রতিষ্ঠিত।”