দিল্লি ধর্ণা মঞ্চে যোগ দেবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

দিল্লি ধর্ণা মঞ্চে যোগ দেবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাসভবনে মন্ত্রীসভার বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী

আগামী ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তিতে দিল্লি যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। সেকথা গত ১৬ সেপ্টেম্বর তৃণমূল ঘোষণা করেছিল একশ দিনের বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে দিল্লিতে আন্দোলনে সামিল হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Delhi tour)। সঙ্গে থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীর সকালে তাঁদের নেতৃত্বে রাজঘাটে প্রার্থনায় বসবেন তৃণমূলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক ও জেলাসভাধিপতিরা। সেদিনই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছে তৃণমূল।

আরও পড়ুনঃ বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে অজিদের হারাল ভারত

কিন্তু সুত্রের খবর, ওই সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামিল হওয়া নিয়ে রবিবাসরীয় সন্ধেয় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়ে গেল। স্পেন সফর সেরে শনিবার কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর এদিন সন্ধেয় এসএসকেএম হাসপাতালে রুটিন পরীক্ষার জন্য যান মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধেয় চিকিৎসা বুলেটিনে ডাক্তাররা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে সফরের সময়ে বাঁ হাঁটুতে ও হিপ জয়েন্টে চোট পেয়েছিলেন। তার নিরাময় পুরোপুরি হয়নি। স্পেন সফরে গিয়ে হাঁটাহাঁটির জন্য বরং আবার সমস্যা হচ্ছে। তাই আগামী ১০ দিন তাঁকে নিয়ন্ত্রিত চলাফেরা করতে বলা হয়েছে।

 

রবিবারের পর ১০ দিন, অর্থাৎ ৪ অক্টোবর পর্যন্ত রেস্ট্রিকশন মেনে চলতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজঘাটে ধর্না ইত্যাদি কর্মসূচিতে অংশ নিলে অনেকটাই হাঁটাহাঁটি করতে হবে। তাই তাঁর ঘনিষ্ঠ বৃত্তের নেতারাই মনে করছেন, মমতার দিল্লি সফর অনিশ্চিত বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে (Mamata Delhi tour)।

 

তবে গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিতে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না বলে এখনও পর্যন্ত খবর। তা পূর্ব নির্ধারিত কৌশল অনুযায়ীই হবে। বাংলা থেকে ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে গিরিরাজের সঙ্গে দেখা করতে চাইবেন অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূল সাংসদ-বিধায়করা।

 

পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি শেষমেশ দিল্লিতে না যান, তাহলে তৃণমূলের ঘরোয়া রাজনীতির জন্য এও এক মাইলফলক হতে চলেছে। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে ইতিমধ্যে অভিষেককে এগিয়ে দিয়েছেন দিদি। পর পর তিনবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। অতীতে এ ধরনের জোটের বৈঠকে ঠিক যেমন সঙ্গে থাকতেন তৎকালীন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। জাতীয় রাজনীতিতে মুকুলের উচ্চতা সে কারণেই বেড়েছিল এবং একটা পরিচিতি গড়ে উঠেছিল।

 

তাঁদের মতে, মমতা হয়তো মনে করছেন, জাতীয় রাজনীতিতে অভিষেকের উচ্চতা এবং পরিচিতি গড়ে ওঠার সময় এখন আসন্ন। ২ তারিখ অভিষেক দিল্লিতে দলকে নেতৃত্ব দিলে জাতীয় রাজনীতি ও জাতীয় সংবাদমাধ্যমের নজর তাঁর উপর স্বাভাবিকভাবেই থাকবে।

 

পঞ্চায়েত ভোটের পর অভিষেক যে দিল্লি চলো কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন তা দ্য ওয়ালেই সবার আগে লেখা হয়েছিল। হয়েছেও তাই। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ২ অক্টোবরের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক। সেই অর্থে এই কর্মসূচির ভাবনা ছিল তাঁরই। তাতে সমর্থন জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ তারিখ তিনি একা দিল্লিতে নেতৃত্ব দিলে সেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

en.wikipedia.org

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top