প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে চিঠি পাঠাল তৃণমূল কংগ্রেস। আর যা ঘিরে কটাক্ষ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের ১৩০ টি এলাকাকে ডেঙ্গি প্রবণ ঘোষণা করলেন নবান্ন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে লেখা চিঠি দিল্লিতে পাঠাল তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ৩০ তারিখ থেকে দিল্লি যেতে শুরু করবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা। আগামী ২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি। এর আগে বাংলার মানুষ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ থেকে বঞ্চিত।এই অভিযোগকে সামনে রেখে প্রায় ৫০ লাখ চিঠি পাঠাল তারা দিল্লিতে।
যদিও এই চিঠি পাঠানো নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, “এই চিঠি গ্রাম-বাংলার মানুষ লেখেনি। এই চিঠি লিখেছে ক্যামাক স্ট্রিট। বাংলার মানুষ চুরি আটকাতে বলছে।” আর বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যকে পালটা কটাক্ষ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রের উদাসীনতার কারণে বাংলার মানুষের দুর্দশাকে ব্যঙ্গ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার বিভ্রান্তিমূলক দাবির প্রতিবাদ জানাবে সাধারণ মানুষ।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, তাঁদের বঞ্চনার রাজনীতি আড়াল করতে বাংলার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ফের একবার মিথ্যাভাষণ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেন।
শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ডা. শশী পাঁজা বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক মতাদর্শ তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে আলাদা হতেই পারে। কিন্তু, তা বলে তিনি বাংলার মানুষের সংঘর্ষকে ব্যঙ্গ করতে পারেন না। বাংলার টাকা বকেয়া রেখে বঞ্চনা করা হচ্ছে। তারপরও তিনি বলছেন, বাংলার মানুষের এই লড়াই ভুয়ো। ওঁর এই মন্তব্যের জন্য আমরা লজ্জিত। রাজ্যে এবং দিল্লিতে এভাবেই সস্তার রাজনীতি করে বিজেপি। এটা একেবারেই প্রতিশোধমূলক আচরণ। দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেস সত্যাগ্রহ আন্দোলন করবে এবং এই সত্যাগ্রহ আন্দোলনের মাধ্যমেই বাংলার বকেয়া টাকা আদায় করে আনবে।”
ঠিক একইভাবে বিজেপির সমালোচনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী আবারও প্রমাণ করে দিলেন, তিনি বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করতে চান এবং তিনি চান, বাংলার মানুষের অনাহারে দিন কাটুক। তিনি আজ দাবি করেছেন, বাংলার মানুষের লেখা চিঠি ভুয়ো। আমি তাঁকে বলব, মাঠে নামুন এবং ১০০ দিনের কাজের টাকা না পেয়ে যাঁরা চিঠি লিখেছেন, তাঁদের মুখোমুখি হোন। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলার প্রতি বিজেপির এই বঞ্চনার রাজনীতির জবাব মানুষই দেবেন।” যদিও পঞ্চায়েতে চুরি হচ্ছে এই অভিযোগে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে ফের চিঠি দিতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।