রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের মদ্ধ্যে নতুন আতঙ্ক ‘কোভিডেঙ্গি!’ কলকাতায় ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের মধ্যে নতুন করে উঠে এসেছে এক রোগের কথা। চিকিত্সকরা নাম দিয়েছেন, ‘কোভিডেঙ্গি।’ অর্থাত্ কোভিড ও ডেঙ্গির মিলিত এক রোগ, যাতে বিপুল বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে আক্রান্তকে। আর সেই বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করলেন চিকিত্সকরাও।
আরও পড়ুনঃ গুগুলের ২৫ তম জন্মদিন
চিকিত্সকরা বলছেন, কোভিডের পর ডেঙ্গি হলে সাবধান। আর সেই কারণেই আতঙ্কের নাম কোভিডেঙ্গি। অর্থাত্, করোনার সময় যাঁদের ভেন্টিলেশনে বা আইসিইউতে থাকতে হয়েছে, ডেঙ্গির মরশুমে তাঁদের অনেকটা বেশি ঝুঁকি। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের সিংহভাগই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই কারণেই চিকিত্সকরা বলছেন, ‘করোনা হয়ে থাকলে, এই সময় অনেক বেসি সতর্ক থাকতে হবে। অনেক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে তীব্র শ্বাসকষ্টের শিকার হয়ে।’
চিকিত্সকরা বলছেন, ‘অতীতে যাদের দু’বার করোনা হয়েছে, তাঁদের ডেঙ্গি হলে সব থেকে বেশি ঝুঁকি। জ্বর, গা-হাত-পা ব্যথা হলে কোনওভাবেই অ্যান্টিহায়োটিক বা পেনকিলার খেতে হবে না, প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। তবে দু’দিন জ্বর থাকলে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার পরীক্ষা হওয়া জরুরি। পাঁচদিনের ওপরে জ্বর থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি।
চিকিত্সকরা বলছেন, ‘করোনার সময়ের মতো রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা করছে কিনা সেটা দেখা উচিত। শিশুদের এবং বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত। সাধারণ সর্দি কাশি হলে বা সামান্যতম শ্বাসকষ্ট হলেই দ্রুত চিকিত্সকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত। মোট ডেঙ্গি আক্রান্তদের আশি শতাংশের বেশি আগে করোনা আক্রান্ত ছিলেন।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের প্রাক্তন উপাধক্ষ্য বা সুপার ও চিকিত্সক আশিস মান্না ও চিকিত্সক কৌশিক চৌধুরী, তিনি ও কয়েকজন চিকিত্সক মিলে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের সময় সমীক্ষা করে দেখেন, যে সমস্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি কোভিডে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। একই সঙ্গে আইডি হাসপাতালের চিকিত্সাধীন যে সমস্ত রোগীরা ডেঙ্গি আক্রান্ত তাঁদেরও মেডিক্যাল হিস্ট্রি তিনি খতিয়ে দেখেন। তার পরেই দেখা যায়, তাঁদের একটি বড় অংশ, প্রায় ৯০ শতাংশই আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যে সমস্ত রোগীরা ডেঙ্গি আক্রান্ত তাঁদেরও মেডিক্যাল হিস্ট্রি তিনি খতিয়ে দেখেন। তার পরেই দেখা যায়, তাঁদের একটি বড় অংশ, প্রায় ৯০ শতাংশই আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন।