পুজোর মুখে বড়ো স্বস্তি পেল শুভেন্দু অধিকারী। তার বিরুদ্ধে করা যাবে না কোনো FIR। মহা পঞ্চমীর দিন সকালে জানিয়ে দিন কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করার যে আবেদন জানানো হয়েছিল, তা খারিজ হয়ে গেল আদালতে। ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যখন বিজেপি বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল, সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই পুলিশের উদ্দেশে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য নিয়ে অভিযোগ ওঠে। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল যাদবপুর থানার পুলিশ। সেই বক্তব্য নিয়ে এফআইআর করার আর্জি খারিজ করে দিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ।
আরও পড়ুনঃ কামদুনি মামলায় স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট
বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, শুভেন্দু অধিকারী ওইদিন তিনি যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তা নির্দিষ্ট ভাবে কারও উদ্দেশে নয়, খুব সাধারণভাবে ব্যবহার করেছেন বিরোধী দলনেতা। তবে এমন পদমর্যাদার মানুষদের পাবলিক প্লেসে এমন ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয় বলে সতর্ক করেছে আদালত। বিচারপতি বলেছেন, সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির পদের প্রতি মানুষের খারাপ ধারণা তৈরি হতে পারে। আদালত মনে করে, শুভেন্দুর সেদিনের কু মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কোনও ধারা প্রয়োগ করা যায় না।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও নতুন এফআইআর করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। পরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা হলে কলকাতা হাইকোর্ট বলেছিল, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকলে এফআইআর করা যাবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। গত অগস্ট মাসে শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ। অর্থাৎ এফআইআর করার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অন্যান্য মামলায় শুভেন্দুকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও নতুন এফআইআর করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। পরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা হলে কলকাতা হাইকোর্ট বলেছিল, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকলে এফআইআর করা যাবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। গত অগস্ট মাসে শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ। অর্থাৎ এফআইআর করার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অন্যান্য মামলায় শুভেন্দুকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।