ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধ অব্যাহত। আর এই আবহেই ভারতে হিন্দু ধর্মের অবদান এবং মাহাত্ম্য তুলে ভাষণ দেন রাষ্ট্রসঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত। ভারতে হিন্দু ধর্মের অবদান এবং গুরুত্ব বোঝাতে তিনি জানান, ভারত কখনও ইজরায়েল-হামাস কিংবা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি। কারণ, এ দেশ হিন্দুদের দেশ। এই ধর্ম সংঘাত চায় না। হিন্দু ধর্ম ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে কাছে টেনে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: এ বার মহুয়ার বিরূদ্ধে বিজেপি সাংসদ দুবে চিঠি দিলেন লোকপালকে
শনিবার নাগপুরে আরএসএস পরিচালিত একটি স্কুলে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের রাজ্যভিষেকের সাড়ে তিনশো বছর উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন সঙ্ঘ প্রধান। ভাষণে তিনি হিন্দু ধর্মের অবদান এবং মাহাত্ম্য তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, এই দেশে একজন হিন্দু নিরাপদ বলার অর্থ একজন মুসলিমও সুরক্ষিত। এটাই হিন্দু ধর্মের চরিত্র। তিনি বলেন, ভারত নানা সময়ে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু ইজরায়েল-হামাসের দ্বন্দ্ব কিংবা রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি এই দেশে কখনও হয়নি। কিন্তু ইজরায়েল-হামাসের দ্বন্দ্ব কিংবা রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি এই দেশে কখনও হয়নি।
হিন্দু ধর্মের সকলকে নিয়ে চলতে পারার কথা ভাগবত অতীতেও বলেছেন। এমনকী ভারতীয় মুসলিমরা আদতে হিন্দু, এ দেশে হিন্দু ও মুসলমানের ডিএনএ এক, বলেও সংখ্যালঘু সমাজকে হিন্দুত্ববাদী শিবিরের সঙ্গে মেলাতে চেয়েছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ হল, ভাগবত ভাষণে ‘হিন্দুত্ব’ শব্দটি ব্যবহার করেননি। বারে বারেই হিন্দু ধর্মের কথা বলেছেন।
আসলে রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেস নেতারা হিন্দু ধর্ম ও হিন্দুত্বের মধ্যে ফারাক তুলে ধরে প্রচার শুরু করেছেন কয়েক বছর হল। গত মাসে রাহুল গান্ধী একটি সর্বভারতীয় দৈনিকে এই বিষয়ে নিবন্ধ লেখেন। তাতে তিনি বলেন, সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্ম আর হিন্দুত্ব এক নয়। আরএসএস-বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা হল হিন্দুত্ব, যা অন্য ধর্মকে দাবিয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চায়। কাকতালীয় হলেও উল্লেখযোগ্য, আরএসএস প্রধান নাগপুরে শনিবারের ভাষণে হিন্দুত্বের মহিনা কীর্তন করেননি। আগাগোড়া হিন্দু ধর্মের কথা বলেছেন।
তাতে তিনি বলেন, সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্ম আর হিন্দুত্ব এক নয়। আরএসএস-বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা হল হিন্দুত্ব, যা অন্য ধর্মকে দাবিয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চায়। কাকতালীয় হলেও উল্লেখযোগ্য, আরএসএস প্রধান নাগপুরে শনিবারের ভাষণে হিন্দুত্বের মহিনা কীর্তন করেননি। আগাগোড়া হিন্দু ধর্মের কথা বলেছেন।