রাজ্যপাল হিসাবে এটাই ছিল বাংলায় সিভি আনন্দ বোসের প্রথম দুর্গাপুজো কাটানো। শুরু থেকে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন পুজো মন্ডপ ঘুরে দেখেছেন তিনি। আর এইবার সেরা পুজো গুলিকে পুরস্কৃত করবে রাজভবন, দেওয়া হবে ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার। কলকাতা এবং জেলা মিলিয়ে চার পুজো কমিটিকে ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা। মানুষের বিচারে সেরা চার পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করা হবে বলে জানিয়েছে রাজভবন। পুরস্কারের সূচনা হল এবছর থেকেই। পুরস্কৃত করা হচ্ছে টালা প্রত্যয়, নেতাজি কলোনি লো-ল্যান্ড, বরানগর বন্ধুদল স্পোর্টিং এবং কল্যাণী লুমিনাস ক্লাবকে। চারটি পুজো কমিটিকে মোট ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেবে রাজভবন।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বকাপে হারে হ্যাটট্রিক, বাবর হারাতে পারেন পাক দলের অধিনায়কত্ব
মঙ্গলবার রাজভবনের তরফে এই ঘোষণা করা হয়। রাজ্যপাল যদিও আগেই ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কারের ঘোষণা করেন। মানুষের বিচারে সেরা চার পুজোকে পুরস্কৃত করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। সেই মতো মানুষের কাছে মতামত চাওয়া হয়। ইমেল মারফত রাজভবনকে নিজেদের মতামত জানান সকলে। তার ভিত্তিতেই এই চার পুজোকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, চারটি পুজোকে মোট পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে, যা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবে তারা। এর পাশাপাশি, মানপত্রও দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজো উপলক্ষে ক্লাবগুলিকে আগে থেকেই অনুদান দেয় রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার বেছে বেছে সেরা পুজোগুলিকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিল রাজভবন।
এবারে দুর্গাপুজোয় প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। শহরের সেরা পুজোগুলি যেমন দেখেছেন, তেমনই তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাড়ার পুজোতেও দেখা যায় রাজ্যপালকে। সেখানে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক বার্তাও দেন তিনি। সেই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। মহাষ্টমীর সকালে কুণাল ঘোষের পুজোয় হাজির হন রাজ্যপাল বোস। পাঞ্জাবি-পায়জামায় রীতিমতো বাঙালি সাজে, সুকিয়া স্ট্রিটের রামমোহন সম্মিলনীর পুজোয় দেন অঞ্জলিও। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান কুণাল। মণ্ডপ ঘুরিয়ে দেখানো থেকে পুজোর থিমও বুঝিয়ে দেন। কুণালকে উপহারও দেন রাজ্যপাল। কুণালও তাঁকে উপহার দেন।
কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়েই উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আজ মাকে সাক্ষী রেখে শপথ গ্রহণ করি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে, হিংসার বিরুদ্ধে সংগ্রাম চলবে। পুরাণ অনুযায়ী, দুর্নীতি হল রক্তবীজ, হিংসা হল নরকাসুর। মা দুর্গা যেমন মহিষাসুরকে বধ করেন এবং মা কালী রক্তবীজকে, আমরাও দুর্নীতিকে শেষ করব। ভগবান কৃষ্ণ যেমন নরকাসুরকে বধ করেছিলেন, হিংসাকে শেষ করব আমরা।”