রেশন দুর্নীতি কান্ডে বৃহস্পতিবার দিনভোর জিজ্ঞাসাবাদের পর এদিন ভোর রাতে ইডি গ্রেফতার করেছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। আর এরপরই দিল্লি থেকে মারাত্মক আশঙ্কার কথা শোনালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। বিজেপি সাংসদের আশঙ্কা, জ্যোতিপ্রিয় প্রাণ সংশয় হতে পারে। বললেন, “তাঁকে (জ্যোতিপ্রিয়কে) হত্যা করা হতে পারে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বিশেষ সুরক্ষা দেওয়া উচিত। নাহলে এরকম দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যাতে পুরো তদন্তে মাটি চাপা পড়ে যাবে।” একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের জেল ও হাসপাতালগুলি সুরক্ষিত নয় বলেও মনে করছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ সরাসরি বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার বলে অভিযোগ করেন জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলকে ইতিমধ্যেই আসানসোলের সংশোধনাগার থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লিতে। দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে তিহাড় জেলেই রয়েছেন তিনি। তবে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও বন্দি প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। দিলীপ ঘোষে বক্তব্য, “একজনকে নিয়ে আসা হয়েছে দিল্লিতে। পার্থবাবুকে এবং ওনাকেও (জ্যোতিপ্রিয়কে) নিয়ে আসা হোক। সবাইকে এখানে ভাল ব্যবস্থায় রাখা হোক। দিল্লিতে আবহাওয়াও ভাল, সুস্থ থাকবেন।” দিলীপ ঘোষের আশঙ্কা, ‘যাতে আসল দোষীরা ধরা না পড়ে, তাই এদের হত্যা করা হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বনমন্ত্রীকে ইডি গ্রেফতার করার পরই এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারীর চক্রান্তের কারণেই এসব হচ্ছে। সে নিয়েও আজ প্রশ্ন করা হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। যদিও জ্যোতিপ্রিয়র এই অভিযোগকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বিজেপি সাংসদ। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “শুভেন্দু যদি চক্রান্ত করে জেলে পাঠাতে পারতেন, তাহলে তৃণমূলের পুরো মন্ত্রিসভাই জেলে চলে যেত। শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন, সেটা ওরা এখনও হজম করে উঠতে পারছেন না। তাই এসব করছেন।”
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বনমন্ত্রীকে ইডি গ্রেফতার করার পরই এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারীর চক্রান্তের কারণেই এসব হচ্ছে। সে নিয়েও আজ প্রশ্ন করা হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। যদিও জ্যোতিপ্রিয়র এই অভিযোগকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বিজেপি সাংসদ। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “শুভেন্দু যদি চক্রান্ত করে জেলে পাঠাতে পারতেন, তাহলে তৃণমূলের পুরো মন্ত্রিসভাই জেলে চলে যেত। শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন, সেটা ওরা এখনও হজম করে উঠতে পারছেন না। তাই এসব করছেন।”