এক দশকের মুখ্যমন্ত্রিত্বের পর সদ্য তেলঙ্গানার কুর্সি হারিয়েছেন। এবার বাড়িতে পড়ে গিয়ে হাড় ভাঙলেন ভারত রাষ্ট্র সমিতির প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও।গত কাল, বৃহস্পতিবার রাত ২টো নাগাদ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সূত্রের খবর, বাড়ির বাথরুমে পা পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন কেসিআর। দ্রুত হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
সিটি স্ক্যান করে ডাক্তাররা দেখেন, ৬৯ বছরের রাজনীতিবিদের ‘হিপ ফ্র্য়াকচার’ হয়েছে। তবে হাসপাতালের বুলেটিনে জানানো হয়, কেসিআরের অবস্থা স্থিতিশীল। তবে সম্ভবত তাঁর বাঁদিকে ‘হিপ রিপ্লেসমেন্ট’ করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে পুরোপুরি সেরে উঠতে ছয় থেকে আট সপ্তাহ লাগার কথা। তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এহেন শারীরিক অবস্থার কথা শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেন, ‘এমন আঘাতের কথা জেনে চিন্তা হচ্ছে। আশা করি, উনি দ্রুত সুস্থ ও রোগমুক্ত হয়ে উঠবেন।’
২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কেসিআর। একেবারে হালে, দক্ষিণের রাজ্যটিতে যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল, তাতে তাঁর দল, ভারত রাষ্ট্র সমিতি বা বিআরএস-কে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেস। ১১৯ আসনের তেলঙ্গানায় ৬৪টি আসন দখল করে শতাব্দীপ্রাচীন দল। সেখানে বিআরএস পায় ৩৯। ২০১৪ সালে, তেলঙ্গানা গঠনের পর থেকে এই প্রথমবার হারের স্বাদ পেল বিআরএস। এই দফায় জিতলে ‘হ্যাট ট্রিক’ করতে পারতেন তিনি। কিন্তু কংগ্রেসের পারফরম্যান্সে অধরা রয়ে গেল সেই স্বপ্ন। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে হালেই কংগ্রেসের রেবন্ত রেড্ডি তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথও নেন। শপথগ্রহণ করেছেন ১১ জন নয়া মন্ত্রীও।
এবারের নির্বাচনে যে দুটি আসন থেকে কেসিআর লড়েছিলেন, তাঁর মধ্যে গাজেওয়াল আসন থেকে জিতলেও কামারেড্ডি আসনটি হেরে যান। দলের হারের পর থেকে বাড়িতেই সকলের সঙ্গে দেখা করছিলেন বিআরএস প্রধান। তার মধ্য়ে এই ঘটনা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে অর্থোপেডিক, অ্যানাস্থেশিয়া, জেনারেল মেডিসিন এবং পেন মেডিসিনের মতো একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি। বাবার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন কে কবিতা। তাঁর সার্জারির কথা চলছে। তবে এই মুহূর্তে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন কেসিআর। নিন্দুকেরা অবশ্য বলছেন, মোটের উপর সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না তাঁর।