মালদা- আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা মিলেছে, প্রথম কিস্তির। সেই টাকা দিয়ে বাড়ির কাজ শুরু করেছিলেন উপভোক্তা। কিন্তু আবাসের টাকা ঢুকলেও দাবি মতো কাটমানি দেননি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে। কাটমানি না দেওয়ায় উপভোক্তার নির্মীয়মান বাড়ি রাতের অন্ধকারে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ভাঙচুরের ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল ।
মালদার বামনগোলা ব্লকের হরিপুর এলাকার ঘটনা। উপভোক্তার অভিযোগ দাবি মত স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে কাট মানি দেননি তিনি তারি জেরে পঞ্চায়েত সদস্যের অনুগামীরা রাতের অন্ধকারে তার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। এই ঘটনায় তিনি অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে বামনগোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই উপভোক্তার দাবি, এলাকার গোবিন্দপুর মহেশপুর জিপির র তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য গনেশ রায় তার কাছে কুড়ি হাজার টাকা দাবি করেছিল বলে অভিযোগ। তিনি সেই টাকা দিতে নারাজ। নিজের বসতভিটার উপরেই বাড়ি তৈরি করছিলেন তিনি। রাতের অন্ধকারে তার নির্মীয়মান বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এই বিষয় তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য গণেশ রায় তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটি সম্পন্ন ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ক্যামেরার সামনে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতেন না চাইলেও মৌখিকভাবে তিনি এই কথা জানিয়েছেন ।
যদিও বামনগোলা ব্লকের বিজেপির মন্ডল টু এর সভাপতি তপন মন্ডল জানান তৃণমূলের সরকার হচ্ছে কাটমানির সরকার। কাটমানি চাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এরকম চলতে পারবে না মানুষ জনগণ এর ঠিক জবাব দিবে অবিলম্বে অন্য তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আসিস কুন্ডু জানান বামন গোলা থানায় যে অভিযোগ হয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যর নামে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত পেয়ে এর তদন্ত শুরু করেছে আমরা কোন দল দেখি না যদি কেউ অভিযুক্ত প্রমাণিত হয় তাহলে সে যদি তৃণমূলের দলেও থাকে তার বিরুদ্ধেও আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে আর বিজেপি সব ক্ষেত্রেই রাজনীতি করে এটাই তাদের কাজ।
