আলিপুরদুয়ার -রাতভর চলল পুলিশের তল্লাশি। আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ। আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ মাদক। তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি-সহ মোট দুই জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ৫২ গ্রাম নিষিদ্ধ ব্রাউন সুগার উদ্ধার করল শামুকতলা থানার পুলিশ। জনপ্রতিনিধির ঘরেই কিনা মাদকের রমরমা।বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল।
আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকের মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বিষ্ণু রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে আবার আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। ধৃত বিষ্ণুর স্ত্রী লিপিকা রায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। অঞ্চল সভাপতি ছাড়া ধৃত অন্যজন মালদহের বাসিন্দা। তাঁর নাম চন্দন মণ্ডল। ২ জনের বিরুদ্ধেই মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মালদহ থেকে মাদক বিক্রেতা চন্দন মণ্ডল ট্রেনে করে আলিপুরদুয়ারে অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে আসে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাদা পোশাকে চন্দনের গতিবিধি ফলো করতে থাকে পুলিশ। বাড়ির সামনে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে মাদক হস্তান্তর করতেই হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় পাচারকারী ও তৃণমূল নেতাকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ঘটনায় গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল নেতার মাদকের ব্যবসা ছিল বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। এপ্রসঙ্গে পাল্টা বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক বলেন,”তৃণমূল কংগেস অনেক আগে থেকেই এই কাজে যুক্ত। পুলিশ তদন্ত করলে আরও অনেকের কাছ থেকে মাদক পাবে।”
