কলকাতা – লীলাবতী হাসপাতালের ঘটনা সামনে আসার পর রীতিমতো হতবাক প্রত্যেক মানুষ । টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠার পর এই ঘটনা সামনে আসে। হাসপাতালের বর্তমান ট্রাস্টিদের দাবির ভিত্তিতে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
হাসপাতালের বর্তমান ট্রাস্টিরা দাবি করেন, আগের পরিচালন কমিটির সদস্যরা তহবিল থেকে ১,২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেছেন।
জানানো হয়, পরিচালন কমিটির বর্তমান সদস্যদের অফিসের নিচে খনন চালিয়ে আটটি পাত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে হাড় ও মানুষের চুল পাওয়া গেছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও প্রথমে তারা এফআইআর নিতে অস্বীকার করে। পরে আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়।
হাসপাতালের আর্থিক লেনদেনের অডিটের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির তথ্য উঠে আসেছ। অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর মেহতার ভাই বিজয় মেহতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
সূত্রের খবর, ২০০২ সালে কিশোর মেহতা চিকিৎসার কারণে বিদেশে যান। তখন বিজয় মেহতা অস্থায়ীভাবে ট্রাস্টের দায়িত্ব নেন। অভিযোগ, সেই সময় তিনি নথি ও স্বাক্ষর জাল করে কিশোর মেহতাকে স্থায়ী ট্রাস্টির পদ থেকে সরিয়ে দেন এবং নিজের পরিবারের সদস্যদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেন।
২০১৬ সালে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর কিশোর মেহতা পুনরায় পরিচালন কমিটিতে নিজের পদ ফিরে পান। ২০২৩ সালে তাঁর মৃত্যুর পর ছেলে প্রশান্ত মেহতা স্থায়ী ট্রাস্টি হন এবং দায়িত্ব নেওয়ার পরই হাসপাতালের তহবিল ঘেঁটে দেখেন। শুরু করেন পরীক্ষা। ধীরে ধীরে উঠে আসতে থাকে তছরুপের ঘটনাটি।
পুলিশ ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এই নিয়ে। এখনও পর্যন্ত তিনটি এফআইআর রুজু হয়েছে। কালাজাদুর বিষয়টিরও আদালতের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছে।
