মুর্শিদাবাদ -ওয়াকফ আইন নিয়ে প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে। আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হল পুলিশের ভ্যান। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে গেলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পুলিশের উপর হামলা ও ইটবৃষ্টিও করা হয়। পুলিশের দুটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।রণক্ষেত্র পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ।ওয়াক্কা আইন প্রত্যাহারের দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা। আইনের বিরোধিতায় সরব হয় একাধিক মুসলিম সংগঠন। মঙ্গলবার দুপুরে কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে। পরবর্তীতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। প্রশাসনিক দপ্তরের সামনেও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ফেটে পড়েন এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে প্রথমে বচসা ও পরে হাতাহাতি বেঁধে যায়।বিক্ষোভকারীরা আচমকাই পুলিশের উপর ইট ছুড়তে শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে যে উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন একাধিক পুলিশ কর্মী। একজন দমকল কর্মীও আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
সন্ধে ৭টা নাগাদ অবশেষে জাতীয় সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। গত দু’দিন ধরেই মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর, সুতি, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় জনতা। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর।এদিকে জঙ্গিপুর কাণ্ডে এক্স পোস্টে শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। “১৪ বছর পুলিশমন্ত্রী মমতা, আর বাংলার পুলিশেরই গাড়ি জ্বলছে,” প্যারামিলিটারি ফোর্স নামানোর দাবি করেন শুভেন্দু। সিএএ প্রতিবাদের ঘটনা টেনে এনে শুভেন্দু বলেন, প্রতিবাদের নামে কিছু সমাজবিরোধী রাস্তা সরকারি ও জনতার সম্পত্তি নষ্ট করছে। এধরনের প্রতিবাদ ও ধ্বংসলীলা অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু।
