বিনোদন – শুরু হয়ে গিয়েছে চৈত্র সেল। আর কলকাতার চেনা মার্কেটগুলিতে এই সেলে জিনিস কেনার জন্য বছরভর অপেক্ষা করে থাকেন অনেকেই। তবে এই সময় গড়িয়াহাট ও হাতিবাগানের ফুটপাতগুলিতে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। কম দামে এই ফুটপাত থেকে ভাল জিনিস কিনতে পারদর্শী অনেকেই। সম্প্রতি গড়িয়াহাটের ফুটপাথ ধরে একের পর এক দোকানে ঢুঁ মারতে দেখা গেল গায়িকা ইমনকে। কী কী কিনলেন এই চৈত্র সেলে? ইমন চক্রবর্তী সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে তাঁকে গড়িয়াহাটের ফুটপাত থেকে জিনিস কিনতে দেখা যায়। আর এই ভিডিও দেখে অনেকেই অবাক হন যে গায়িকা আদৌও ফুটপাত থেকে জিনিস কেনেন? এ প্রসঙ্গে গায়িকা এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তিনি এক ব্যাগ কেনাকাটা করেছেন এই চৈত্র সেল উপলক্ষ্যে। ইমন জানিয়েছেন তিনি কী কী কিনলেন। গায়িকা জানান, ১০০ টাকা দিয়ে ছোট ব্যাগ কিনেছেন। হাফ প্যান্ট কিনেছেন। একটি থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট কিনেছেন। শুধু নিজের জন্যই নয়, স্বামী নীলাঞ্জনের জন্য আর গায়িকার বাবার জন্য একটা কুর্তাও কিনেছেন।
গড়িয়াহাটে কেনাকাটা করতে গিয়ে অতীতের স্মৃতিতে ভেসেছেন গায়িকা। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে একসময় গড়িয়াহাট থেকেই কেনাকাটা করতেন ইমন। তিনি জানান, হাওড়ায় থাকার সুবাদে গায়িকার কাছে শপিং মানেই নয় গড়িয়াহাট আর নয়তো বা এসপ্ল্যানেড। আর ইমনের মায়ের পড়াশোনা দক্ষিণ কলকাতায় হওয়ায় তাঁর মায়ের একেবারে নখদর্পণে ছিল সব কিছু। ইমন জানান, তিনিও দক্ষিণাপণে শপিং করতে বহুবার গিয়েছেন। তবে ইমনের মা চলে যাওয়ার পর তিনি আর গড়িয়াহাটে শপিং করতে আসেননি বহু বছর। আর অনলাইন শপিং-এর যুগে ফুটপাথে শপিং করার সেই আমজটা আবার ফিরে পেলেন ইমন। গায়িকার কাছে গড়িয়াহাটের ফুটপাথে শপিং করা সেরা পাওনা। তাঁর কথায় এখনও এখানে সেরা জিনিস সাধ্যের মধ্যে পাওয়া যায়। আর গুণগত মানও ভাল। ইমন ঠিক করেছেন এরপর থেকে তিনি গড়িয়াহাট থেকেই শপিং করবেন। প্রসঙ্গত, শপিংয়ের সময় ইমনকে মাস্ক পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। তবে সেটা নিজের পরিচিতি ঢাকার জন্য নয়। গায়িকার ডাস্ট অ্যালার্জি রয়েছে আর সেই কারণেই তাঁকে মাস্ক পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। আসলে ইমন সেলিব্রিটি হলেও সব সময় মাটির কাছে থাকতেই ভালোবাসেন। এর আগেও গায়িকাকে এই ধরনের সাধারণ কিছু বিষয় করতে দেখা গিয়েছে।




















