দক্ষিণ দিনাজপুর- দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর পালস হাসপাতাল আবারও চিকিৎসা ক্ষেত্রে নজির গড়ল। কুশমন্ডি ব্লকের বছর আটেকের শিশু তানিশা আক্তারের জটিল গলব্লাডার অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করে হাসপাতালটি প্রমাণ করল, সঠিক পরিকাঠামো ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক থাকলে জেলা শহরের হাসপাতালেও জটিল অস্ত্রোপচার সম্ভব।
তানিশা দীর্ঘদিন ধরে তীব্র পেট ব্যথায় ভুগছিল। দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা ও উত্তর দিনাজপুরের একাধিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হলেও সঠিক রোগ নির্ণয় সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে বুনিয়াদপুর পালস হাসপাতালে বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, তার গলব্লাডারে দুটি পাথর (২০ মিমি ও ১৫ মিমি) জমেছে, যা থেকেই তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছিল।
এত কম বয়সী শিশুর জটিল গলব্লাডার সার্জারির ঝুঁকি নিতে রাজি হননি অন্যান্য হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। তবে পালস হাসপাতালের চিকিৎসক ড. আনিসুর রহমান ও সুমন দাসের নেতৃত্বে রবিবার অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে অপারেশনটি সম্পন্ন হয় এবং সফলভাবে পাথরগুলি অপসারণ করা হয়।
চিকিৎসক ড. আনিসুর রহমান বলেন, “এই বয়সের শিশুর ওপর মাইক্রোসার্জারি অত্যন্ত জটিল। আধুনিক পরিকাঠামো এবং দক্ষ টিম ছাড়া এটি সম্ভব হতো না। এই এলাকায় এমন অপারেশন এই প্রথম।”
হাসপাতালের অন্যতম কর্তা রাকিবুল বাবু বলেন, “ছোট বয়সের শিশুর এমন জটিল অপারেশন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে।”
রোগীর আত্মীয় আব্দুলসাত্তার হাসপাতালের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “এই হাসপাতাল আমাদের এলাকার গর্ব। আগেও অনেক মানুষ এখানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। আমরা চাই, এই প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতেও এমনভাবেই মানুষের পাশে থাকুক।”
এই ঘটনা প্রমাণ করে, চিকিৎসা পরিকাঠামো ও অভিজ্ঞতার সঠিক সমন্বয় থাকলে জেলা হাসপাতালেও জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা সম্ভব।
