উত্তরবঙ্গ – উত্তরবঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের প্রভাব এবার ক্লাসরুমেও পড়ছে। দিনহাটা ৩ নম্বর চক্রের কিসমত দশগ্রাম এস.সি. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শুভ্র সেন শ্রেণিকক্ষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রচণ্ড গরমে মাথা ঘোরা ও অস্বস্তি অনুভব করে সে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকান্ত চক্রবর্তী তৎক্ষণাৎ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন—চোখে-মুখে জল ছিটিয়ে মাথায় জল ঢেলে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। পরে অভিভাবকেরা এসে ছাত্রটিকে স্থানীয় এক গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
এই ঘটনার পর বিদ্যালয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। শিক্ষক ও অভিভাবকদের তরফে দাবি উঠেছে—এই তীব্র গরমে বিদ্যালয় সম্পূর্ণ বন্ধ না রেখে যেন প্রাতঃকালীন বিভাগ চালু করা হয়। সকালবেলায় তুলনামূলকভাবে তাপমাত্রা কম থাকায় ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকটা হ্রাস পাবে বলে মনে করছেন সকলে।
প্রাথমিক স্তরের একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, “এই গরমে শিশুরা ক্লাস করতে পারছে না। মাথা ব্যথা, বমি ভাব, দুর্বলতা ক্রমেই বাড়ছে। স্বাস্থ্যহানি যাতে না হয়, তার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা প্রয়োজন।” অভিভাবকদের একাংশ বলেছেন, “শিক্ষা বন্ধ না রেখেও যদি ক্লাসের সময় এগিয়ে আনা হয়, তাহলে শিশুরাও বাঁচবে, পড়াশোনাও চলবে।”
সরকারি স্তরে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশিকা না এলেও, শিক্ষক ও অভিভাবকমহলের দাবি—শিশুদের সুরক্ষার স্বার্থে প্রশাসন যেন দ্রুত প্রাতঃকালীন ক্লাস চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।
