দিল্লি- ‘বদলের বাংলাদেশ’-এর চিত্রপটে এবার কলঙ্কিত হল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্যবাহী পৈতৃক বসতভিটা। বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে অবস্থিত ‘রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি’—যেখানে রয়েছে সংগ্রহশালা ও একটি অডিটোরিয়াম—সেই ঐতিহাসিক স্থানে মঙ্গলবার চালানো হল ভাঙচুর।
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, “বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুরের মতো ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।”
ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিঠি লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, “সিরাজগঞ্জে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে ভাঙচুরে আমরা গভীরভাবে ব্যথিত। দয়া করে প্রতিবেশী দেশের সরকারের কাছে এই বিষয়ে কড়া বার্তা দিন এবং জঘন্য অপরাধে যুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও আপস না করে ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করুন।”
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার, যখন এক ব্যক্তি মিউজিয়ামের ভেতর পার্কিং নিয়ে কর্মীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পরে মঙ্গলবার ‘মানববন্ধন’-এর নামে কিছু দুষ্কৃতী রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এর জেরে আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কাছারিবাড়ি ও মিউজিয়াম। তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজনৈতিক মহলও। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে সংসদের বিশেষ অধিবেশন দাবি করেছেন এই নিয়ে আলোচনার জন্য। বিজেপি-র পক্ষ থেকেও ঘটনার নিন্দা করে বলা হয়েছে, “এই হামলা শুধু ভারতের নয়, বিশ্বের সাংস্কৃতিক পরম্পরার উপর আঘাত। আন্তর্জাতিক মহলে এর জোরালো প্রতিবাদ প্রয়োজন।”
এই ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না আসায়, চাপ বাড়ছে কূটনৈতিক মহলেও।
