চিৎপুর দ্বৈত খুনে ফাঁসি: ১০ বছর পর বিচারে নৃশংস খুনির শাস্তি ঘোষণা

চিৎপুর দ্বৈত খুনে ফাঁসি: ১০ বছর পর বিচারে নৃশংস খুনির শাস্তি ঘোষণা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



কলকাতা – দশ বছর আগের চাঞ্চল্যকর চিৎপুর বৃদ্ধ দম্পতি হত্যাকাণ্ডে শেষমেশ সাজা ঘোষণা করল আদালত। বুধবার শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস, এই মামলার রায়ে অভিযুক্ত সঞ্জয় সেন ওরফে বাপ্পাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনান।

২০১৫ সালের জুলাই মাসে চিৎপুরের ইন্দ্রালোক আবাসনে সত্তরের কোঠার দম্পতি প্রাণগোবিন্দ ও রেণুকা দাসকে তাদেরই বিশ্বস্ত পরিচারিকার স্বামী, সঞ্জয় সেন নির্মমভাবে খুন করে। তদন্তে উঠে আসে, সঞ্জয়ের প্রতি পিতৃস্নেহে অন্ধ ছিলেন ওই দম্পতি। এমনকি, তার রিকশাটিও কিনে দিয়েছিলেন তারা।

আস্থা ও বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে অর্থ ও সোনার লোভে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে লোহার রড দিয়ে খুন করে সঞ্জয়। হত্যার পর নগদ ১ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা এবং প্রায় ৫০ ভরি সোনা নিয়ে চম্পট দেয় সে।

দু’দিন ফ্ল্যাটের দরজা না খোলায় এবং দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকায় প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। সঞ্জয়কে দু’দিন পর নন্দীগ্রামে তার পৈতৃক বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

চিৎপুরের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় রক্তমাখা জামাকাপড় ও হত্যায় ব্যবহৃত লোহার রড। চুরি হওয়া সোনা ও নগদ পাওয়া যায় মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায়।

আদালত এই খুনকে “বিরলের মধ্যে বিরলতম” আখ্যা দিয়ে সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণা করে। বিচারকের ভাষায়, “এতবড় বিশ্বাসঘাতকতা ও নিষ্ঠুরতা সমাজে দৃষ্টান্ত তৈরি করতেই মৃত্যুদণ্ড প্রয়োজন।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top