খেলা – প্রতিভা থাকলেই হয় না—সাহস, আত্মবিশ্বাস আর নিজস্ব চিন্তাভাবনার বলেই ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী আজ উঠে এল ইতিহাসের পাতায়। কোচের সংযমী কৌশলের বার্তা উপেক্ষা করে নিজের স্টাইলে খেলে সে দেখিয়ে দিল—আক্রমণই তার আসল রণনীতি।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অনূর্ধ্ব-১৯ সিরিজের চতুর্থ একদিনের ম্যাচে বৈভব ঝড় তুলল। মাত্র ৫২ বলে শতরান করে রচনা করল এক অনন্য নজির। ব্যাট হাতে ৭৮ বলে ১৪৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে মারল ১০টি চারের সঙ্গে সাতটি বিশাল ছক্কা। স্ট্রাইক রেট প্রায় ২০০—এ যেন রীতিমতো বিধ্বংসী মেজাজ।
এই ইনিংসে বৈভব গড়ে ফেলল একসঙ্গে দু’টি বিশ্বরেকর্ড—যুব ওয়ান ডে ক্রিকেটে দ্রুততম শতরান ও সর্বকনিষ্ঠ শতরানকারী হিসেবে। ২০২২ সালে কাসিম আক্রমের ৬৩ বলে শতরানের রেকর্ড ভেঙে দিল ১১ বল আগে। আর বয়স? মাত্র ১৪ বছর ১০০ দিন!
এজবাস্টনের গ্যালারিতে বসে কিছুদিন আগেই শুভমন গিলের স্থির দ্বিশতরান দেখেছিল সে। কিন্তু নিজের ইনিংসে সে রাখল একেবারেই আলাদা ছাপ—ধৈর্যের পরিবর্তে আগ্রাসন। স্পিনার বা পেসার—কারও রেহাই নেই। একের পর এক শটে ছিন্নভিন্ন করে দিল ইংল্যান্ড বোলিং লাইন-আপকে।
শুরুর তিন ম্যাচেও দুর্দান্ত ফর্মে ছিল বৈভব। তবে চতুর্থ ম্যাচে এল সেই স্বপ্নের শতরান। হেলমেট খুলে গ্যালারির দিকে ব্যাট তুলে সম্ভাষণ জানানোর দৃশ্য যেন এক তরুণ নয়, বরং এক ভবিষ্যতের বিশ্বক্রিকেট মহাতারকার।
বৈভব সূর্যবংশীর এই উত্থান শুধু এক ইনিংসের নয়, বরং ভারতীয় ক্রিকেটের এক নতুন সূর্যোদয়ের ইঙ্গিত। আগামী দিনে বিশ্ব ক্রিকেটের মঞ্চে সে যে আরও বিস্ময় বয়ে আনবে, তাতে সন্দেহ নেই।
