কলকাতা – কলকাতার প্রখ্যাত রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ আবারও বিতর্কে। অভিযোগ উঠেছে, কলেজের ইউনিয়ন রুমকে নিয়মিতভাবে ব্যক্তিগত বারে পরিণত করা হয়েছে, যেখানে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মদের আসর বসে। এই অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন জেনারেল সেক্রেটারি গৌরব দত্ত মুস্তাফি। টিভি৯ বাংলার হাতে আসা একাধিক ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কলেজের ইউনিয়ন রুমে সন্ধ্যার পর আলোকসজ্জা এবং আসবাব সহযোগে একান্ত পার্টির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনা নতুন নয়। অভিযুক্ত ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে চড় মারার অভিযোগে তাঁকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কারও করা হয়েছিল। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষাঙ্গনে শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠছে।
তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন গৌরব দত্ত মুস্তাফি। তাঁর দাবি, ইউনিয়ন রুমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ থাকার কারণে অধ্যাপকরাও সেখানে বসতেন, এবং এই অভিযোগ আসলে তাঁকে হেনস্থা করার ষড়যন্ত্র। তিনি একে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্রান্ত’ বলে দাবি করেছেন।
এই ঘটনাকে ঘিরে রাজ্যের শিক্ষা মহলে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। কলেজ ইউনিয়ন রুমের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রপরিষদ কক্ষ যদি এই ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হয়ে ওঠে, তবে তা শুধু প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাকেই ক্ষুণ্ণ করে না, ছাত্র-রাজনীতির প্রকৃত উদ্দেশ্যকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে। প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও উঠছে তীব্র সমালোচনা, কারণ এতকিছু সত্ত্বেও অভিযুক্ত এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এই ঘটনায় তদন্তের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি আদৌ নিরাপদ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ পরিবেশ বজায় রাখতে পারছে, সেই প্রশ্ন আরও একবার সামনে এনে দিল রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের এই বিতর্কিত অধ্যায়।
