রাজ্য – বাঙালি পরিচয় ও বাংলা ভাষার উপর বারবার আঘাতের প্রতিবাদে বুধবার কলকাতার রাজপথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত বৃষ্টিভেজা শহরে হাজার হাজার জনতার মিছিলে নেতৃত্ব দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আসাম, ওড়িশা ও দিল্লির মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের বিরুদ্ধে চরম হেনস্তা, গ্রেপ্তার ও পুশব্যাকের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল এই প্রতিবাদ। বাংলায় কথা বলাটাই যেন সেখানে অপরাধে পরিণত হয়েছে— এই ভাষা-হেনস্তার বিরুদ্ধে মমতার স্পষ্ট বার্তা, “বাংলাকে আহত করেছে। এটা মনে রাখবেন, আহত বাঘ ভয়ঙ্কর।”
তিনি বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিকভাবে জবাব দেব। খেলা হবে। দিল্লি দখল করবে টিম ইন্ডিয়া।” ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে সরাসরি বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, “বাংলায় কথা বললে যদি অপরাধ হয়, তবে আমাকেও ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাক!”
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলিতে সংগঠিতভাবে বাঙালিদের টার্গেট করা হচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাদের বাড়ির জল-বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, বাংলার জনজাগরণকেই অস্ত্র হিসেবে তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবিতে উঠে এল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তাও। মিছিলের ভিড়ে যেমন ছিলেন বাঙালি, তেমনই ছিলেন অবাঙালিরাও। মমতার আশ্বাস— “কোনও সম্প্রদায় বা ভাষার মানুষ আক্রান্ত হলে, আমরা তাদের পাশে থাকব।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “দানবিক দল বিজেপিকে আগামী নির্বাচনেই উৎখাত করবে বাংলার মানুষ।”
বাঙালির অস্তিত্ব, ভাষা ও সংস্কৃতির লড়াই এখন রাজনৈতিক মঞ্চে— এবং তাতে নেতৃত্বে রয়েছেন মমতা নিজে।
