বিহার – দেশজুড়ে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। বিহারের বোধগয়া থানা এলাকায় ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। হোমগার্ড নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এক তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অভিযোগ, সেই চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই চালক ও টেকনিশিয়ান তরুণীকে ধর্ষণ করে।
২৪ জুলাই বিএমপি-৩ প্যারেড গ্রাউন্ডে পরীক্ষার জন্য আসেন ওই মহিলা প্রার্থী। প্রচণ্ড গরমে দৌড়ের সময় তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ই নৃশংসভাবে ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। পুলিশকে বিষয়টি নিজেই জানান তিনি।
এসএসপি আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক বিনয় কুমার এবং টেকনিশিয়ান অজিত কুমারকে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বোধগয়ার এসডিপিও সৌরভ জয়সওয়ালের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক দল। সিসিটিভি ফুটেজ অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। বোধগয়া থানায় প্রাথমিক এফআইআর দায়ের হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
বর্তমান সময়ে নারী নির্যাতনের ঘটনা যেন নিত্যদিনের খবর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত ওড়িশায় গত কয়েক মাসে একের পর এক ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ২৮ জুন গঞ্জামে দূর সম্পর্কের আত্মীয় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর ওপর ধর্ষণ চালায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৫ জুন গঞ্জামেই স্থানীয় এক ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
১৯ জুন ময়ূরভঞ্জে ৩১ বছরের এক তরুণীকে চারজন মিলে গণধর্ষণ করে। ১৮ জুন কেওনঝড়ে ১৭ বছরের এক কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, মৃত্যুর আগে তাঁকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল।
১৫ জুন গোপালপুর সমুদ্র সৈকতে এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সম্প্রতি বালেশ্বরের বিএড কলেজের এক ছাত্রী কলেজ ক্যাম্পাসে আত্মহননের চেষ্টা করেন। তিনদিনের লড়াই শেষে ১৫ জুলাই ভুবনেশ্বর এইমসে তাঁর মৃত্যু হয়। বিভাগের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তিনি যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন।
১৯ জুলাই ওড়িশার পুরীতে বছর পনেরোর এক কিশোরীকে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মেয়েটি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। এছাড়াও জগৎপুর জেলায় এক নাবালিকাকে তিনজন মিলে একাধিকবার গণধর্ষণ করে জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
