নদিয়া – নদিয়ার তারাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একের পর এক গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, পি ডব্লিউ ডি-র অধীনস্থ রাজ্য সড়কের পাশে থাকা বেশ কয়েকটি গাছ শনিবার সকালে পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশে কেটে ফেলা হয়। কিন্তু এই গাছগুলি কাটার জন্য পি ডব্লিউ ডি বা বনদপ্তরের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
পি ডব্লিউ ডি আধিকারিকরা ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে রানাঘাট থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পঞ্চায়েতের তরফে অনুমতি পত্রের দাবি করা হলে পি ডব্লিউ ডি-কে করা একটি আবেদনপত্র দেখানো হয়, কিন্তু বনদপ্তর বা পি ডব্লিউ ডি-র কোনও আনুষ্ঠানিক অনুমতি পত্র দেখাতে পারেননি পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। গাছ কাটার বিষয়ে ফোনে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তারাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জানান যে অনুমতি নেওয়া হয়েছে, তবে তিনি বা পঞ্চায়েতের কেউই সেই অনুমতির নথি দেখাতে পারেননি।
বেশ কয়েকটি গাছ কেটে সরাসরি পঞ্চায়েত কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, যদি গাছ কাটা আইনসম্মত হতো, তবে বনদপ্তর বা পি ডব্লিউ ডি-ই গাছগুলি নিজেদের হেফাজতে নিত। এই ঘটনার পর বিরোধীরা সরব হয়েছে। বিজেপি ও সিপিএম উভয়েই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই রাজ্য সড়কের পাশে পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই গাছগুলি কেটে ফেলা হয়েছে, যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বনদপ্তরও ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করছে বলে সূত্রের খবর।
