পশ্চিম মেদিনীপুর – জলমগ্ন ঘাটালের দুর্দশার ছবি ফের সামনে এল। রবিবার দুপুরে ঘাটাল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনসা চৌধুরীর মৃত্যুর পর, তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হল কলার ভেলায় চাপিয়ে। প্রয়াত কাউন্সিলর কানাইলাল চৌধুরীর স্ত্রী মনসা দেবীর মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার অন্য কোনও উপায় ছিল না, কারণ এলাকা পুরোটাই জলের নিচে।
এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ মনসা দেবীর মৃত্যু হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনের জলবন্দি অবস্থা এবং কাঁচা রাস্তাঘাটের অপ্রতুল পরিকাঠামোর কারণে দাহস্থলে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে কলার ভেলায় চাপিয়ে দেহ ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানের দিকে।
এই ঘটনা ঘিরে ফের প্রশ্ন উঠছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে জলনিকাশি সমস্যায় ভোগা ঘাটালবাসীর অন্যতম দাবি ছিল এই পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন। কিন্তু এত বছরেও সেই প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। বর্ষা এলেই ঘাটালের একাধিক এলাকা, বিশেষ করে নিম্নভূমিগুলি, জলমগ্ন হয়ে পড়ে। চলাচলের উপায় থাকে না, এমনকি মৃত্যুর পরও মর্যাদার সঙ্গে শেষযাত্রার ব্যবস্থা থাকে না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বছর এই সমস্যা হলেও প্রশাসনের তরফে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। ফলে নাগরিক জীবনের মৌলিক চাহিদাগুলি আজও অধরা। এই ঘটনার পর ফের সোচ্চার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ—“মাস্টার প্ল্যান কবে?”
