স্বাস্থ্য – বিশ্বজুড়ে দূষণের বাড়বাড়ন্ত হাঁপানির প্রকোপকে দিন দিন তীব্র করে তুলছে। গরম, বর্ষা বা শীত—বছরের কোনও ঋতুই আর হাঁপানির রুগীদের জন্য স্বস্তি এনে দিতে পারছে না। বরং প্রতিটি ঋতু কোনও না কোনওভাবে সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে বর্ষাকালে বহু মানুষকে হাঁপানির তীব্র সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়।
শহরের রাস্তাঘাটে গাড়ির ধোঁয়া, বাতাসে উড়ে বেড়ানো ফুলের রেণু, ক্ষতিকর কার্বন মনোক্সাইড, বাড়ির ভিতরে ধূপ-ধোঁয়া, রান্নার ঝাঁজ কিংবা ধূমপানের ধোঁয়া—সব মিলিয়ে শ্বাস নেয়ার পরিবেশটাই যেন বিষাক্ত হয়ে উঠছে। এর ফলে শিশু থেকে বৃদ্ধ—৮ থেকে ৮০—প্রত্যেকেই হাঁপানির ঝুঁকিতে পড়ছেন।
হাঁপানি হলে টান ওঠার সময় শ্বাসনালির চারপাশের মাংসপেশি সঙ্কুচিত হয়ে যায়, যার ফলে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। রোগীর বুকে ব্যথা, হাঁটাহাঁটিতে অসুস্থতা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন ডি-এর অভাবও হাঁপানির একটি প্রধান কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশুর শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কম, তাদের মধ্যে হাঁপানির প্রবণতা বেশি। পাশাপাশি শিশুর অতিরিক্ত ওজন থাকলেও এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
ভিটামিন ডি শ্বাসনালির সঙ্কোচন ঠেকায় এবং শ্বাসযন্ত্রের ভিতরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ফলে হাঁপানির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। এই ভিটামিনকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়—ডি৩ এবং ডি২। সূর্যের আলো থেকে ডি৩ তৈরি হয় আমাদের ত্বকে, তবে এর জন্য দরকার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে সরাসরি রোদে আসা।
শরীরে ভিটামিন ডি-এর প্রয়োজনীয়তা পূরণে সূর্যালোকের পাশাপাশি কিছু খাবারও কার্যকর। স্যামন ও টুনা মাছ, দুধ ও ওটস, কাঠবাদাম, খেজুর ও আখরোটে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি। এসব নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে শিশুদের হাঁপানি রোধে সহায়তা করে।
