নদিয়া – কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কাঁচড়াপাড়া রেল ওয়ার্কশপের নাম ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত অশোক দাস-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল রেল পুলিশ (RPF)। অভিযুক্তরা ভুয়ো পরিচয়পত্র ও জাল নথি বানিয়ে বহু বেকার যুবককে রেলে চাকরি দেওয়ার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করতেন। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বীজপুর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং আদালতের নির্দেশে তিনজনকেই ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত অশোক দাস এক সময় কাঠের ব্যবসা করতেন। রেলকর্মী না হলেও কাঁচড়াপাড়া রেল ওয়ার্কশপের কিছু কর্মীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। এই সম্পর্কের সুযোগ নিয়েই তিনি প্রতারণার ফাঁদ পাততেন। এমনকি ওয়ার্কশপের অফিসের বাইরেই কখনও কখনও প্রতারণার কার্যকলাপ চালাতেন। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতারণা চালিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি ও তাঁর সহযোগীরা।
RPF-এর কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ার পর, বুধবার পুলিশ ফাঁদ পেতে অশোককে গ্রেফতার করে। পরে তাঁর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চক্রে যুক্ত আরও দু’জনের নাম। তাদেরও আটক করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ভুয়ো নথিপত্র ও জাল পরিচয়পত্র।
এদিকে, মূল অভিযুক্ত অশোক দাসের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ছিলেন। তবে তৃণমূলের কাঁচড়াপাড়া শহর সভাপতি দাবি করেছেন, অশোক তৃণমূলের কেউ নন, বরং বিজেপির এক প্রাক্তন নেতার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এই বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
বর্তমানে পুলিশ এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে। তদন্তে উঠে আসতে পারে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য, এমনই আশঙ্কা করছেন তদন্তকারীরা।
