ডুরান্ড কাপ থেকে ছিটকে গেল ইস্টবেঙ্গল, ডায়মন্ড হারবারের ঐতিহাসিক জয়

ডুরান্ড কাপ থেকে ছিটকে গেল ইস্টবেঙ্গল, ডায়মন্ড হারবারের ঐতিহাসিক জয়

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

খেলা – অসংখ্য গোলের সুযোগ নষ্ট করার খেসারত দিয়ে ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল। বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত ডুরান্ড কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ডায়মন্ড হারবার এফসি’র কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয় লাল-হলুদ ব্রিগেড। এই জয়ের ফলে ইতিহাস গড়ল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আগামী শনিবার (২৩ আগস্ট) ফাইনালে ডায়মন্ড হারবার এফসি মুখোমুখি হবে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের।

ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। স্পেনীয় তিকিতাকা ধাঁচের ফুটবল খেলতে থাকেন নাওরেম মহেশ, বিপিন সিং এবং মিগুয়েল ফিগেরা। মাত্র চার মিনিটের মাথায়ই গোল করার সুযোগ তৈরি করেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবে সুযোগ কাজে লাগানো যায়নি। আট মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে প্রায় গোল করতে বসেছিল ডায়মন্ড হারবার, কিন্তু গোলরক্ষক প্রভসুখন গিলের চমৎকার সেভে রক্ষা পায় ইস্টবেঙ্গল।

১৫ মিনিটে নুঙ্গার থেকে বল পান মহেশ, যিনি পাস দেন দিমিত্রিয়াস দিয়ামান্তাকোসকে। দিমির পাসে বল পৌঁছায় মিগুয়েলের কাছে, কিন্তু তার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২২ মিনিটে আনোয়ার আলির শট পোস্টের বাইরে যায়। ২৫ মিনিটে স্যামুয়েলের পাস থেকে সুযোগ পেলেও গোল করতে ব্যর্থ হন জবি জাস্টিন। ৩৩ মিনিটে লালচুংনুঙ্গা ফাউলের কারণে হলুদ কার্ড দেখেন এবং ফলে দল ফাইনালে উঠলেও তিনি খেলতে পারবেন না। ৪৩ মিনিটে মহেশের বাড়ানো পাস থেকে দিমি সহজ সুযোগ মিস করেন। সংযুক্ত সময়ে মহেশের বাঁ-পায়ের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। আধিপত্য বজায় রেখেও গোল তুলতে ব্যর্থ হয় ইস্টবেঙ্গল, ফলে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নুঙ্গা ও এডমুন্ডের পরিবর্তে প্রভাত লাকরা ও জিকসন সিংকে নামান কোচ অস্কার ব্রুজোঁ। ৫০ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন দিমি, মহেশের কাছ থেকে পাওয়া বল সরাসরি সাইড জালে মারেন। ৫৪ মিনিটে মিগুয়েলের কর্নার থেকে ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন দিমি। ৫৭ মিনিটে ফের সুযোগ নষ্ট করেন বিপিন সিং।

৬৪ মিনিটে ডায়মন্ড হারবারের গোলরক্ষক মিরশাদ মিচু একের পর এক দুর্দান্ত সেভ করে ইস্টবেঙ্গলের নিশ্চিত গোল রুখে দেন। এরপর দ্রুত প্রতি আক্রমণে উঠে দুরন্ত ব্যাকভলিতে গোল করে ডায়মন্ড হারবারকে এগিয়ে দেন মিকেল। তবে গোল খাওয়ার পরপরই মাঝমাঠ থেকে সরাসরি শটে গোল করে আনোয়ার আলি দলকে সমতায় ফেরান।

৭৯ মিনিটে মিগুয়েলের বাঁ-পায়ের বাঁকানো শট বক্সের কানায় লেগে বাইরে চলে যায়। ৮৩ মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া পাসে শট নিয়ে গোল করে দলকে ফের এগিয়ে দেন ডায়মন্ড হারবারের জবি জাস্টিন। ৮৫ মিনিটে গোল শোধের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন রশিদ। শেষ মুহূর্তে বিপিন সিং ও প্রভাত লাকরার পরিবর্তে পিভি বিষ্ণু ও ডেভিড লালহানসাঙ্গাকে নামালেও ম্যাচে ফিরে আসতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।

ডায়মন্ড হারবারের মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের কাছে এই পরাজয়ে ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। তাদের অভিযোগ, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ও বারবার সুযোগ নষ্টের কারণেই সেমিফাইনালে হারতে হয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top