বিহার – বিহারের সমস্তিপুরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মুফাসসিল থানা এলাকার লাগুনিয়া রঘুকণ্ঠ গ্রামে নিজের ঘরের ভেতর থেকে ৩০ বছর বয়সী যুবক সোনু কুমারের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনার পর মৃতের স্ত্রী স্মিতা ঝা-কে আটক করেছে পুলিশ। সোনুর পরিবারের অভিযোগ, পরকীয়ার সম্পর্কই এই খুনের নেপথ্যে মূল কারণ।
সোনুর বাবা টুনটুন ঝা জানিয়েছেন, ছয় বছর আগে স্মিতার সঙ্গে সোনুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া হতো। বিবাদ এতটাই তীব্র আকার নেয় যে, এক সময় সালিশি সভা বসাতে হয় এবং একটি বন্ড পেপারও তৈরি করা হয়। দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। তবে সম্প্রতি তাদের সন্তানদের গৃহশিক্ষক হরিওম কুমারের সঙ্গে স্মিতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে দাবি পরিবারের।
পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে সোনু তার স্ত্রী এবং গৃহশিক্ষককে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। সেই ঘটনার পর থেকেই পারিবারিক অশান্তি আরও বেড়ে যায়। টুনটুন ঝা জানিয়েছেন, শুক্রবার গভীর রাতে অটো চালিয়ে বাড়ি ফেরেন সোনু। পরদিন সকালে তিনি ঘরে ঢুকে দেখতে পান, সোনুর রক্তাক্ত দেহ খাটের ওপর পড়ে রয়েছে এবং স্ত্রী স্মিতা ঘরের এক কোণে বসে আছে। তার গলায় স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছিল।
ঘটনার পর সোনুর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্মিতাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। টুনটুন ঝার দাবি, এই হত্যাকাণ্ডে স্মিতার সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত থাকতে পারে। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে এবং ঘটনার পেছনের রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে।
