দিল্লি – দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার ওপর হামলার ঘটনায় তদন্তের পরিধি ক্রমশ বাড়ছে। হামলাকারী রাজেশ খিমজি সাকারিয়াকে গ্রেপ্তারের পর এবার গুজরাটের রাজকোট থেকে তার এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাহসিন সৈয়দকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। প্রাথমিকভাবে রাজকোটে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং পরে হেফাজতে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাহসিন সৈয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে হামলাকারী রাজেশ খিমজিকে টাকা পাঠিয়েছিল। গুগল পে-এর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণের জন্য সে রাজেশকে ₹২০০০ পাঠিয়েছিল। জানা গেছে, তাহসিন একজন অটোরিকশা চালক।
তদন্তে উঠে এসেছে, রাজেশ কি কোনও বড় চক্রের সঙ্গে যুক্ত কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজকোটে রাজেশের সঙ্গে যোগাযোগে থাকা মোট পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ, তবে আপাতত শুধু তাহসিনকেই দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশের ধারণা, দিল্লিতে হামলার জন্য আসার সময় রাজেশ তার শহরের এই পাঁচজনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ।
তাহসিনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে তাহসিনকে বিস্তারিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার সঙ্গে রাজেশের কোনও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল কিনা, সেটিও পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে রাজেশ এবং তাহসিনকে মুখোমুখি বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
অন্যদিকে, কেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার ওপর হামলা চালিয়েছিল রাজেশ, সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছে পুলিশ। রাজকোটের কোঠারিয়া রোডের বাসিন্দা ৪১ বছর বয়সী রাজেশ খিমজি সাকারিয়া গত ২০ আগস্ট দিল্লিতে অনুষ্ঠিত একটি ‘জন শুনানি’ কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে। অভিযোগ, রাজেশ মুখ্যমন্ত্রীকে থাপ্পড় মেরে চুল টেনে ধরে। সাকারিয়ার দাবি, সে একজন পশুপ্রেমী এবং কুকুর সংক্রান্ত বিষয়ে দিল্লি সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে অসন্তুষ্ট ছিল। তবে তার এই দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
