উত্তরপ্রদেশে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল কাঁথির মা-ছেলে, শোকে স্তব্ধ পূর্ব মেদিনীপুর

উত্তরপ্রদেশে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল কাঁথির মা-ছেলে, শোকে স্তব্ধ পূর্ব মেদিনীপুর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



পূর্ব মেদিনীপুর – পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে উত্তরপ্রদেশে কাজে গিয়ে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই পরিযায়ী শ্রমিক। মৃতরা হলেন ফরিদা বিবি (৩০) এবং তার বড় ছেলে জাহানসিম সাহা (১২)। পরিবারের আরও তিন সদস্য গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই দুর্ঘটনার খবর কাঁথি ও আশেপাশের এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের খাগড়াবনি এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর সাহা পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে উত্তরপ্রদেশে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন। শনিবার দুপুরে একটি আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ট্রেন থেকে নেমে অটো-রিকশায় আত্মীয় বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি প্রাইভেট গাড়ি অটোর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ করে। দুর্ঘটনায় অটোর মধ্যে থাকা ছয়জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলেই মা ফরিদা এবং ছেলে জাহানসিমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের বাকি তিন সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

দুর্ঘটনার খবর পেয়েই পরিবারের আত্মীয়রা কাঁথি থেকে উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। আত্মীয় সেখ হাবিব বলেন, “ক্ষেত্রের মানুষদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা উত্তরপ্রদেশে পৌঁছেছি। কাজের জন্যই আমাদের পরিবার এখানে এসেছিল। এই মর্মান্তিক ঘটনা সত্যিই হৃদয়বিদারক।”

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা তরুন জানা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, “আমরা সবরকম সহযোগিতা করব, যাতে আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন এবং মৃতদের শেষকৃত্যের সকল প্রক্রিয়ায় সাহায্য করা যায়।”

ঘটনার পর কাঁথি ও আশেপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশীরা আহতদের খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। অনেকেই মৃতদেহ আনা ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।

স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এলাকাবাসীরাও পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার দাবি তুলেছেন। এই দুর্ঘটনা শুধু একটি পরিবার নয়, বরং পুরো কমিউনিটির জন্য গভীর শোক ও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top