রাজ্য – বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন, আর তার আগে ঘর গোছাতে ব্যস্ত শাসক ও বিরোধী শিবির। ইতিমধ্যেই রাজ্যে তিনবার সফর করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন কার্যত দেশের নজরে। অন্যদিকে, শাসক তৃণমূলও পিছিয়ে নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় জেলায় সফর করে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে সর্বশক্তি প্রয়োগে ব্যস্ত।
প্রধানমন্ত্রীর সভাগুলিতে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় চোখে পড়লেও, ভোটের সময় বিরোধীদের বুথে এজেন্টের সংকট বহুবার স্পষ্ট হয়েছে। এবার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে, কারণ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে প্রায় ১৪ হাজার নতুন বুথ যুক্ত হতে চলেছে। যেখানে ১২০০-র বেশি ভোটার রয়েছে, সেসব বুথ ভেঙে নতুন বুথ তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই বুথের সংখ্যা চিহ্নিত হয়েছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য আগামী ২৯ অগস্ট সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বর্তমানে রাজ্যে ৮০ হাজারেরও বেশি বুথ রয়েছে, কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত এজেন্ট দিতে পারছে না বিরোধীরা। তার ওপর আরও ১৪ হাজার বুথ যোগ হলে চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে যাবে। এই পরিস্থিতি তৃণমূলের জন্য সুবিধাজনক হয়ে উঠতে পারে, কারণ শাসক দল দাবি করছে যে সব বুথে এজেন্ট দেওয়ার মতো শক্তি কেবল তাদেরই রয়েছে। তবে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এসআইআর-এর তালিকা থেকে নাম বাদ পড়লে বুথের সংখ্যা কিছুটা কমতেও পারে।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়লেও তৃণমূলের মুখে স্পষ্ট আশাবাদ। তবে বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিন মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যাবে এবং তৃণমূল তখন এজেন্ট সংকটে পড়বে। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে বিদায় নিতে হবে। অন্যদিকে, তৃণমূল এই হুঙ্কারকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাদের দাবি, রাজ্যের প্রতিটি বুথে এজেন্ট বসানোর ক্ষমতা একমাত্র তৃণমূলেরই আছে।
