নদিয়া – এসআইআর ইস্যু ঘিরে যখন রাজ্য-রাজনীতি উত্তপ্ত, সেই প্রেক্ষাপটে নদিয়ার শান্তিপুরে দেখা গেল এক ভিন্ন রাজনৈতিক চিত্র। রবিবার অনুষ্ঠিত মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বড় সাফল্য অর্জন করেছে। দিনভর উত্তেজনার মধ্যেই শান্তিপুর ব্লকের বাবলা, বেলঘড়িয়া ১ নম্বর এবং আরবান্দী ১ নম্বর পঞ্চায়েতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ফলপ্রকাশের পর দেখা যায়, তিনটি পঞ্চায়েতেই প্রায় একতরফা জয় পেয়েছে শাসক দল।
আরবান্দী ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ৯টি আসনের সবকটিতেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। বাবলা পঞ্চায়েতের ১৪টির মধ্যে ১১টিতে এবং বেলঘড়িয়া ১ নম্বরের ৭টির মধ্যে ৬টিতেও শাসকদল জয়ী হয়েছে। এই ফলাফল তৃণমূলের জন্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপির দখলে ছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বিপুল জয় আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে নতুন করে শক্তি জোগাবে।
এই সাফল্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বরাবরই বাংলার মানুষের উন্নয়নে পাশে থেকেছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পগুলো মহিলাদের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। এই বিপুল জয় তারই প্রতিফলন।”
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বাংলার মানুষ বিজেপির “বাংলাবিরোধী রাজনীতি”র জবাব ভোটের মাধ্যমেই দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, শান্তিপুরের মানুষ আবারও প্রমাণ করেছেন যে তারা মা-মাটি-মানুষের সরকারের উপরেই আস্থা রাখেন।
