দিল্লিতে হাসপাতাল নির্মাণ কেলেঙ্কারি: ইডি’র তল্লাশি, নজরে আপ নেতৃত্ব

দিল্লিতে হাসপাতাল নির্মাণ কেলেঙ্কারি: ইডি’র তল্লাশি, নজরে আপ নেতৃত্ব

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



দিল্লি – হাসপাতাল নির্মাণে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে শুক্রবার সকাল থেকে দিল্লি-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে ইডি। প্রায় ৫,৫৯০ কোটি টাকার এই তথাকথিত কেলেঙ্কারিতে নজরে এসেছে আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৮-১৯ সালে দিল্লি সরকার ২৪টি নতুন হাসপাতাল তৈরির অনুমোদন দিয়েছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তিন বছর পেরিয়েও নির্মাণের অর্ধেকও সম্পূর্ণ হয়নি।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, এতদিনে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা খরচ হলেও মাত্র ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বিশেষ করে লোকনায়ক জয়প্রকাশ (এলএনজেপি) হাসপাতালের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮৮ কোটি টাকা থেকে ১,১৩৫ কোটি টাকায়, অথচ কাজের অগ্রগতি কার্যত স্থবির। আরও গুরুতর অভিযোগ, একাধিক জায়গায় অনুমোদন ছাড়াই নির্মাণ শুরু হয়েছিল। ঠিকাদারদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ইডি। পাশাপাশি, ২০১৬ সাল থেকে ঝুলে থাকা হাসপাতাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এইচআইএমএস) প্রকল্পও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। তদন্তকারীদের দাবি, ইচ্ছে করেই এই প্রকল্পকে বিলম্বিত করা হয়েছে।

এই মামলায় দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ ছাড়াও তদন্তের আওতায় রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। শুক্রবার সৌরভ ভরদ্বাজের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। মোট ১৩টি জায়গায় একযোগে চলছে তল্লাশি। ইডি’র দাবি, সরকারি তহবিলের অপব্যবহার, বাজেটের গরমিল এবং বেসরকারি ঠিকাদারদের সঙ্গে অস্বচ্ছ যোগাযোগের প্রমাণ হাতে এসেছে।

অন্যদিকে, অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে আম আদমি পার্টি। দলের শীর্ষ নেতা মণীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, “যখন ঘটনাটি ঘটেছে, তখন সৌরভ ভরদ্বাজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন না। গোটা মামলাটাই ভুয়ো। সত্যেন্দ্র জৈনের ক্ষেত্রেও যেমন মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছিল, এটাও তার পুনরাবৃত্তি।”

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২২ অগস্ট দিল্লি বিধানসভার তৎকালীন বিরোধী দলনেতা বিজেন্দ্র গুপ্ত এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত প্রকল্পে গুরুতর অনিয়ম এবং সন্দেহজনক দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছিল। অভিযোগে সৌরভ ভরদ্বাজ এবং সত্যেন্দ্র জৈনের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে প্রকল্পের নির্দিষ্ট বাজেটে গরমিল, সরকারি অর্থের অপব্যবহার এবং বেসরকারি ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছে। ইডি’র তল্লাশি ঘিরে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে তীব্র তরজা শুরু হয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top