হুগলি – হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় যুবক লক্ষ্মণ চৌধুরীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। মহাকালীতলার বাসিন্দা লক্ষ্মণ গত ছয় দিন ধরে নিখোঁজ। তাকে খুঁজে বের করতে সোমবার থেকে স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, বন্ধু শিবনাথ সাউয়ের সঙ্গে বেরোনোর পরই নিখোঁজ হয়ে যায় লক্ষ্মণ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ছয় দিন আগে শিবনাথ লক্ষ্মণকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে পঞ্চাননতলার একটি ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি করা হয়েছে। তারপর থেকে বাড়ি ফেরেননি লক্ষ্মণ। রাতেও খোঁজ না মেলায় পরিবার মগরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। পুলিশ এরপরই শিবনাথকে গ্রেপ্তার করে এবং তাকে চুঁচুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে এবং বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত লক্ষ্মণের অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে রবিবার ঝুলুনিয়া মোড়ে অবরোধে নামে স্থানীয় বাসিন্দারা ও লক্ষ্মণের পরিবার। অবশেষে সোমবার সক্রিয় হয় পুলিশ। ব্যারাকপুর থেকে স্নিফার ডগ আনা হয় এবং যে ক্লাবে শেষবার লক্ষ্মণকে দেখা গিয়েছিল, তার বাড়ি ও আশেপাশের এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। পাশাপাশি, পঞ্চাননতলা গঙ্গার ঘাটে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী স্পিডবোট নামিয়ে খোঁজ শুরু করেছে।
পুলিশের দাবি, বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং শিবনাথের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে সূত্র পাওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত লক্ষ্মণের খোঁজে সাফল্য মেলেনি।
