রাজ্য – ডিএ মামলার শুনানি আবারও পিছিয়ে গেল। মঙ্গলবার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও মামলাকারীদের এক আইনজীবীর অনুপস্থিতির কারণে তা স্থগিত হয়েছে বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। যদিও নতুন তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি, ধারণা করা হচ্ছে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই হতে পারে শুনানি। এর আগে আরও দু’বার এই মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছিল, ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বাড়ছে অনিশ্চয়তা।
কেন্দ্র সরকার কর্মীদের যেই হারে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) দেয়, সেই একই হারে রাজ্য সরকারকেও ডিএ দিতে হবে — এই দাবিকে সামনে রেখে সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন মামলা দায়ের করেছিল। প্রথমে টেড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল থেকে কলকাতা হাইকোর্ট, সেখান থেকে সুপ্রিম কোর্টে এসে পৌঁছায় এই মামলা। অবশেষে মঙ্গলবার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা আবারও স্থগিত হয়ে যায়। এখন আদালতের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন মামলাকারীরা।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রাপ্য ডিএ-র অপেক্ষায় রয়েছেন। হাজার হাজার কর্মচারীর নজর এখন সুপ্রিম কোর্ট ও রাজ্য সরকারের দিকে। এর আগে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারকে অন্তর্বর্তীকালীন সমাধান হিসেবে ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। জুন মাসের শেষের মধ্যেই প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পর রাজ্য সরকার অতিরিক্ত ছয় মাস সময় চেয়ে নিয়েছে।
২০০৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া ডিএ-র পরিমাণ প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অন্তত ২৫ শতাংশ পরিশোধ করলেই অনেক কর্মচারীর আর্থিক স্বস্তি আসত। কিন্তু রাজ্যের অনুরোধে এখনো সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। ফলে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে এবং দ্রুত সমাধানের আশায় তারা পরবর্তী শুনানির দিকে তাকিয়ে আছেন।
