নদিয়া – নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কলোনি এবং মধ্য কলোনির মধ্যবর্তী রাস্তায় দীর্ঘ এক সপ্তাহ ধরে জমে থাকা জল নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ধান সেদ্ধ শুকনোর একাধিক হলা থেকে নির্গত ধান পচা জল রাস্তার ওপর জমে বিষাক্ত রূপ ধারণ করেছে। ফলে এলাকায় পোকামাকড় এবং সাপের অবাধ যাতায়াত দেখা দিচ্ছে। চর্মরোগের আশঙ্কায় ছোট থেকে বড়, প্রায় সব বাসিন্দাই ভুগছেন ভয় এবং উৎকণ্ঠায়।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, স্থানীয় পুকুরের মধ্য দিয়ে জমা জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলেও পুকুরের চারপাশ অবৈধ নির্মাণে দখল হয়ে যাওয়ায় নিকাশি কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। বৃষ্টিতে পুকুরে অতিরিক্ত জল জমে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে পুকুর সংস্কার ও দ্রুত জল নিষ্কাশনের দাবি জানালেও সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান এখনও হয়নি।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, অস্থায়ীভাবে পাম্প বসিয়ে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বর্ষা শেষ হলেই আগামী অর্থবর্ষে পুকুর সংস্কার সম্পূর্ণ করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানের দাবি, বি এল আর ও-র কাছে ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যাতে বেআইনি দখল উচ্ছেদ করে পুকুর সংস্কারের পথ প্রশস্ত করা যায়।
তবে এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, পুকুর জবরদখল ও নিকাশি সমস্যার বিষয়ে তৃণমূল সরকার এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত উদাসীন। তাদের হুঁশিয়ারি, যদি অবিলম্বে পুকুর সংস্কার ও জল নিষ্কাশনের স্থায়ী সমাধান না হয়, তবে পঞ্চায়েত প্রধানের অফিসের সামনে লাগাতার আন্দোলন চালানো হবে। এদিকে, তৃণমূলের দাবি, সমস্যার সমাধানের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে, তবে বর্ষার কারণে সংস্কারকাজে বিলম্ব হচ্ছে।
হরিপুরে জমা জলের এই সমস্যা শুধুমাত্র জনস্বাস্থ্যকেই হুমকির মুখে ফেলেনি, বরং পুকুর দখল ও নিকাশি ব্যর্থতার কারণে রাজনৈতিক সংঘাতকেও উসকে দিয়েছে।
