স্বাস্থ্য – অনেক বছর ধরে হৃদরোগ প্রতিরোধে অ্যাসপিরিন ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর গবেষণায় জানা গেছে, এই ওষুধটি শীঘ্রই পেছনে সরতে পারে। এর পরিবর্তে ব্যবহার হতে পারে ক্লোপিডোগ্রেল নামের একটি নতুন ওষুধ, যা অ্যাসপিরিনের চেয়ে বেশি কার্যকর।
নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ক্লোপিডোগ্রেল হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধে অ্যাসপিরিনের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি কার্যকর। এটি রক্ত পাতলা করে কাজ করে, কিন্তু অ্যাসপিরিনের মতো রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ায় না।
গবেষণায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রায় ২৯,০০০ রোগীর ওপর সাতটি ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালানো হয়েছে। ফলাফলে স্পষ্ট হয়েছে, ক্লোপিডোগ্রেল অ্যাসপিরিনের তুলনায় হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে সক্ষম।
এই ওষুধ ব্যবহারের মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই প্রভাব শুরু হয় এবং প্রায় পাঁচ দিন পর্যন্ত তা বজায় থাকে। ফলে দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা পাওয়া যায়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ক্লোপিডোগ্রেল ব্যবহারে হৃদরোগীদের জীবনযাত্রায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হতে পারে। অ্যাসপিরিনের তুলনায় এটি রোগীদের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর।বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, আগামী দিনে অ্যাসপিরিনের পরিবর্তে হৃদরোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ক্লোপিডোগ্রেলের ব্যবহার শুরু হবে।ওষুধটির প্রভাব দ্রুত এবং দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় চিকিৎসকরা রোগীদের রক্তক্ষরণ ঝুঁকি বিবেচনা করে নিরাপদভাবে এটি প্রয়োগ করতে পারবেন।
এই গবেষণার ফলাফল চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য নতুন দিগন্ত খুলেছে। বিশেষ করে হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি এক নতুন বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গবেষণায় অংশ নেওয়া রোগীদের মধ্যে গুণগত মান বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে। ফলে চিকিৎসকরা ক্লোপিডোগ্রেল ব্যবহারে আগ্রহী হয়েছেন।বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, অ্যাসপিরিনের স্থায়ী বিকল্প হিসেবে ক্লোপিডোগ্রেল বিশ্বব্যাপী হৃদরোগ প্রতিরোধে নতুন দিগন্ত খুলতে পারে।
