ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ও শুল্ক নীতি নিয়ে সরব, সম্পর্কের অতীত নিয়ে মন্তব্য

ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ও শুল্ক নীতি নিয়ে সরব, সম্পর্কের অতীত নিয়ে মন্তব্য

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram


বিদেশ – যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য নীতি নিয়ে প্রকাশ্য মন্তব্য করেছেন। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক এখন ভাল হলেও বহু বছর আগে সেটা একপেশে ছিল। কারণ ভারত আমেরিকান পণ্যের ওপর বিরাট অঙ্কের শুল্ক চাপাত।”ট্রাম্পের অভিযোগ, ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে গিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পর ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করে। এর ফলে শাস্তি বাবদ ভারতকে চড়া শুল্ক চাপানো হয়, যা গত মাস থেকে কার্যকর হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে চাপানউতর তৈরি হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এখন খুব ভাল। কিন্তু আগে সেটা একপেশে ছিল। আমি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটি বদলেছে।” তাঁর মতে, অতীতে ভারত আমেরিকান পণ্যের উপর শুল্ক ধার্য করত, ফলে আমেরিকা ভারতের সঙ্গে তেমন ব্যবসা করতে পারত না।ট্রাম্প আরও অভিযোগ করেছেন, “ভারত আমাদের বাজারে নিজেদের পণ্য বিক্রি করত সহজে, কিন্তু আমেরিকার পণ্য ভারতে ঢুকতে পারত না। কারণ শুল্ক এত বেশি ছিল যে ব্যবসা করা সম্ভব হত না। আমরা তখন শুল্ক নিতাম না, যা খুবই বোকামি ছিল।”

উদাহরণ হিসেবে ট্রাম্প হার্লে-ডেভিডসন মোটরবাইক কোম্পানির কথা টানেন। তিনি বলেন, “ভারতে একেকটি বাইকের উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হতো। তাই হার্লে-ডেভিডসন ভারতে গিয়ে কারখানা বানাল এবং সেখানে মোটরবাইক তৈরি করছে। ফলে আর শুল্ক দিতে হচ্ছে না। আমেরিকাকেও একই কাজ করতে হয়েছে।”ট্রাম্পের দাবি, ভারতের শুল্ক নীতি একপেশে হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্যহীন ছিল। একদিকে ভারত আমেরিকার বাজারে সহজে পণ্য বিক্রি করত, অন্যদিকে আমেরিকার পণ্য ভারতে ঢুকতে পারত না।তিনি আরও বলেন, “আমরা তখন শুল্ক নিতাম না এবং ভারতের সঙ্গে ব্যবসায় সমতা থাকত না। এই অবস্থার পরিবর্তন করেছি। এখন ব্যবসা করতে সুবিধা হয়েছে।”

ভারতের শুল্ক হ্রাসের বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ট্রাম্পের বক্তব্যে জানা যায়নি। তবে স্পষ্ট হয়েছে, তাঁর মূল আপত্তি ভারত-আমেরিকার বাণিজ্য সম্পর্কের ভারসাম্যহীনতার ওপর।ট্রাম্পের মন্তব্যের মাধ্যমে পরিস্কার হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুধার হলেও বাণিজ্য নীতি ও শুল্কের বিষয়টি তাঁর কাছে এখনও গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের।এবারের ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের আলোচনায় ট্রাম্প বিশেষভাবে ভারতীয় শুল্ক নীতি ও আমেরিকার বাজারে প্রবেশাধিকারের অসমতা তুলে ধরেছেন। তাঁর বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, এই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্পের মন্তব্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শুল্ক নীতি সংক্রান্ত আলোচনায় নতুন সূচনা হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়িক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়তে পারে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top